রান্না করতে দেরি, স্ত্রীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ স্বামীর
বর্তমান | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: রান্না করতে সামান্য দেরি হয়েছিল। সেজন্য গাজোলের বধূ মেনকা মণ্ডলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে হাঁসুয়ার কোপ মারল স্বামী। বধূ রক্তাক্ত হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাঁকে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিত্সার পর পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যালে। ওই বধূর পরিবার গাজোল থানায় চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম মেনকার বাবার বাড়ি গাজোলের ধোয়াদিঘি এলাকায়। ১৭ বছর আগে একই ব্লকের কেনবোনা গ্রামের যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামীর মদ খাওয়া সহ বিভিন্ন কারণে অশান্তি লেগে থাকত। আগেও স্বামী একাধিক বার বধূকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। দু’দিন আগেও দম্পতির মধ্যে বচসা হয়। তখন বধূ পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার মীমাংসা করে প্রতিবেশীরা তাঁকে ফের বাড়িতে রেখে আসেন। বুধবার দুপুরে বধূ ভাত এবং সব্জি রান্না করছিলেন। এমন সময় স্বামী ভাত দিতে বললে সব্জি রান্না হয়নি বলে জানান বধূ। এনিয়ে দু’জনের বচসা শুরু হলে যুবক হাঁসুয়া নিয়ে বধূর মাথা এবং বিভিন্ন জায়গায় কোপ মারে। প্রাণের ভয়ে বধূ পালাতে থাকলে স্থানীয়রা তাঁকে রক্ষা করেন।
গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ মণ্ডল বলেন, জমিতে কাজে যাওয়ার সময় এমন ঘটনা দেখতে পাই। দেখি আমার এক আত্মীয় বধূর মাথা ধরে আছেন। আমাকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে বলে। বধূর বাড়িতে খবর দেওয়ার জন্য তাঁর ঘরে ফোন আনতে গিয়ে দেখি অভিযুক্ত স্বামী হাঁসুয়া নিয়ে দাঁড়িয়ে। আমাকে ঘরে ঢুকতে বারণ করে হুমকি দেয়।
বধূর মা আলোতি মণ্ডল হাসপাতালে বসে কাঁদছিলেন। বলেন, খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। থানায় অভিযোগ করেছি।
গাজোল থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।