• রাস্তায় বেসরকারি বাস বৃদ্ধিতে গুচ্ছ ‘টোপ’ রাজ্যের, ‘গিলতে’ নারাজ অধিকাংশ মালিক
    বর্তমান | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চালু রুটে রাস্তায় নয়া বাস নামাতে বিশেষ আগ্রহী নন বেসরকারি বাস মালিকদের একাংশ। বুধবার পরিবহণ অধিকর্তার সঙ্গে বৈঠকে মালিকদের এমনই মনোভাবের ইঙ্গিত মিলেছে। যাত্রী হয়রানি রুখতে রাজপথে আরও বেশি সংখ্যক সরকারি-বেসরকারি বাস নামানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রে এদিন শহর ও শহরতলির একাধিক রুগ্ন রুটের পুনরুজ্জীবন নিয়ে আলোচনায় বসেন পরিবহণ কর্তারা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট রুটে সর্বোচ্চ বাসের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া রয়েছে। কিন্তু করোনা-পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ রুটেই বাসের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। এদিন পরিবহণ অধিকর্তা প্রস্তাব দেন, রুটগুলিতে ফের চাঙ্গা করতে সবরকমের সহায়তা দেবে রাজ্য। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে রুটের পরিবর্তন কিংবা পরিমার্জন অর্থাৎ আগের থেকে দূরত্ব বৃদ্ধি করা, কিংবা বাড়তি যাত্রীর লক্ষ্যে দুই প্রান্তিক এলাকার হেরফের করা, অথবা নির্দিষ্ট পথে না-গিয়ে নতুন কোনও মোড় থেকে বাসের অভিমুখ পরিবর্তন করায় রাজি পরিবহণ দপ্তর। যদিও তাতে বিশেষ উৎসাহ দেখাননি বাস মালিকরা। এদিনের বৈঠকে রুট নম্বর ৪৫, ২২৩, কে-ওয়ান, ৯৩ বাসের ইউনিয়নগুলিও ডাক পেয়েছিল। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সাফ কথা, চরম পুলিসি অত্যাচার জর্জরিত হতে হচ্ছে। ভাড়া বাবাদ ওঠা অর্থের একটা বড় অংশ চলে যাচ্ছে উর্দিধারীদের দিতে! বাস ভাড়া না বাড়ায় আয় ক্রমে কমছে। ওইসঙ্গে রয়েছে অ্যাপনির্ভর কিছু গাড়ি কিংবা বাসের দৌরাত্ম্য। এই প্রসঙ্গে সিটি সুবারবান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, এই শিল্পের সার্বিক পরিকাঠামো বদল না-হলে নতুন বাস রাস্তায় নামবে না। কেননা, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ফারাক ক্রমে বেড়েই চলেছে। স্বভাবতই এই পরিস্থিতিতে বাস মালিকদের পক্ষে বেশিদিন ব্যাঙ্ক লোনের কিস্তি টানা অসম্ভব বলেও মনে করেন টিটুবাবু।  
  • Link to this news (বর্তমান)