• অমরাবতী মাঠ বিক্রির বিরুদ্ধে পানিহাটির সিংহভাগ কাউন্সিলার, রাস্তায় বিরোধীরাও
    বর্তমান | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর : অমরাবতী মাঠ নিয়ে পানিহাটিতে ক্ষোভ বাড়ছে। পতাকা ছাড়াই রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কৌশল নিয়েছে বিরোধীরা। শাসক দলের অন্দরেও ক্ষোভের চোরাস্রোত বইছে। ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সিংহভাগ তৃণমূল কাউন্সিলার। বুধবার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ চক্রবর্তী মাঠ বিক্রি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেন, সহজে মাঠ বিক্রি করা যাবে না। আমি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।     


    অমরাবতী মাঠ কার্যত পানিহাটি পুরসভার ফুসফুস। সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রাস্তার পাশে থাকা ৮৩ বিঘার এই মাঠের মালিক এসপিসিআই (সোসাইটি ফর দি প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ইন ইন্ডিয়া) নামের একটি সোসাইটি। সম্প্রতি সোসাইটি এই মাঠটিকে দিল্লির নামকরা সংস্থাকে ৯৯ বছরের লিজে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সূত্রের খবর, এখানে বৃহৎ আবাসন হবে। এছাড়া পুরসভার দাবি মেনে মাঠের একাংশে নার্সিং ট্রেনিং কলেজ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল ও কমিউনিটি সেন্টার তৈরির আশ্বাসও দিয়েছে ওই সোসাইটি। দিল্লির বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে জমি দেখে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। লিজের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই পানিহাটি জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। 


    এর জেরে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। চলতি মাসে বামেরা পদযাত্রা ও পথসভা করেছে। বুধবার বিজেপি পতাকা ছাড়া রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে। মাঠ বিক্রির প্রতিবাদে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। শুধু বিরোধীরা নয়, শাসকদলের অন্দরেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বুঝে কাউন্সিলাররা দলের বিভিন্ন স্তরে উষ্মা প্রকাশ করছেন। কীভাবে শিল্পের জমিতে আবাসন ও বিতর্কিত জমিতে বহুতল হচ্ছে তা নিয়ে তাঁরা সরব হচ্ছেন। বুধবার পানিহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ চক্রবর্তী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মাঠ বিক্রির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। শুনেছি, আমাদের দলও চাইছে না জায়গাটি বিক্রি হোক।
  • Link to this news (বর্তমান)