বুধবার গল্ফগ্রিনে খাটের তলা থেকে এক মহিলার রক্তমাখা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। বছর ৪০-এর নাসিফা খাতুনের মৃত্যুর তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাসিফার বড়দার ছেলে বছর ৩৮-এর সাবির আলিকে। হরিদেবপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, নাসিফার থেকে টাকা ধার চেয়েছিল সে। কিন্তু সেই টাকা না দেওয়ায় পিসিকে খুন করে এই যুবক। সূত্রের খবর, অপরাধের কথা পুলিশের কাছে কবুল করেছে সে।
একটি ক্যাফের কর্মী ছিলেন নিহত নাসিফা। অবিবাহিত ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি গল্ফগ্রিনের রাজেন্দ্রপ্রসাদ কলোনিতে। বুধবার কাজে যাননি নাসিফা। মেয়েকে একাধিকবার ফোন করেও পাননি তাঁর মা। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়ি গিয়ে চমকে উঠেছিলেন নাসিফার মা । খাটের নীচ থেকে রক্ত গড়িয়ে আসতে দেখেন তিনি। উঁকি দিতেই দেখতে পান মেয়ের নিথর দেহ। পুলিশের অনুমান ছিল, খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। এই কাজ করেছেন পরিবারের ঘনিষ্ঠ কেউ।
সেই সন্দেহ থেকেই সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ। স্থানীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সন্দেহের তালিকায় ছিল পরিবারের সদস্যরাও। পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত সাবির তার পিসি নাফিসার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধার মেটানোর জন্য পিসি নাসিফার থেকে ১০ হাজার টাকা চেয়েছিল সাবির। কিন্তু তা দিতে রাজি হননি নাসিফা। এরপর পিসির উপর চড়াও হয় সাবির। নিজেকে বাঁচানোর জন্য রান্নাঘরে থাকা ছুরি দিয়ে সাবিরকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে নাসিফা। কিন্তু নাসিফার হাত থেকে সেই ছুরি কেড়ে নিয়ে একাধিকবার তাঁকে আঘাত করে সাবির। ঘটনায় মৃত্যু হয় নাসিফার। এরপরেই নাসিফার দেহ খাটের তলায় লুকিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সাবির।