ব্ল্যাক লিস্টেট সংস্থা ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর সরবরাহ করা ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ (স্যালাইন) ব্যবহার করে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এ বার তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
এর পাশাপাশি, স্যালাইন নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওই স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর জেরে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, যাঁরা ওই স্যালাইন নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর-কে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। তাতে উল্লেখ করতে হবে কোন রোগী ইতিমধ্যেই ওই সংস্থার ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ (স্যালাইন)- ব্যবহার করেছেন। ওই অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানাবে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই স্যালাইন কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে এই ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিআইডি। উল্লেখ্য, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সিজ়ারের পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৫ প্রসূতি। এই ঘটনায় কালো তালিকাভুক্ত সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগও ওঠে। ঘটনায় মৃত্যু হয় মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির। ঘটনার তদন্তে নামে স্বাস্থ্য ভবন।
উল্লেখ্য, এ দিন স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব (ড্রাগস অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট) চৈতালি চক্রবর্তী অপসারিত করা হয়েছে পদ থেকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে আনা হয়েছে শুভাঞ্জন দাসকে।