ডোমকলে পুলিশের উপর হামলা, আসামিকে ছিনতাই করে নিল গ্রামবাসীরা, নরেন্দ্রপুরে এএসআই-কে অস্ত্রের কোপ...
আজকাল | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: চুরির মামলায় ধৃত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে খোয়া যাওয়া মাল উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হতে হল মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার পুলিশকে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে ডোমকল থানার আলিনগর গ্রামে। পুলিশের উপর হামলা চালানোর পর কিছু গ্রামবাসী এক আসামিকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের হামলায় ডোমকল থানায় কর্তব্যরত সাব-ইন্সপেক্টর রানা প্রতাপ সেনগুপ্ত গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কিছু গ্রামবাসী ওই পুলিশ আধিকারিকের গলা লক্ষ্য করে হাঁসুয়া চালান। নিজেকে বাঁচাতে ওই আধিকারিক হাত বাড়িয়ে দিলে তাঁর আঙুলে গুরুতর আঘাত লাগে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনা এবং আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়েছে।
ডোমকল থানার এক আধিকারিক জানান,দিন চারেক আগে আলিনগর গ্রামে পরপর তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রানা শেখ নামে ওই গ্রামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। চুরির মাল কোথায় লুকিয়ে রাখা রয়েছে তা জানতে বুধবার রাতে রানাকে নিয়ে আলিনগর গ্রামে গিয়েছিল পুলিশের একটি দল। তিনি জানান, গ্রামে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যে রানার কয়েকজন আত্মীয় এবং কিছু গ্রামবাসী উত্তেজিত অবস্থায় রানাকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বাধা দিলে পুলিশের উপর হাঁসুয়া এবং অন্যান্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। অতর্কিত এই হামলায় পুলিশ কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়ে। এই সুযোগ নিয়ে রানাকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় কিছু গ্রামবাসী। এরপর ডোমকল থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রানাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, চোর হিসেবে নিজের গ্রামে রানার 'কুখ্যাতি' রয়েছে। এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ হেফাজত থেকে উধাও হয়ে যাওয়া রানার সন্ধানে ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের তরফ থেকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বর্তমানে পলাতক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অপরদিকে, নরেন্দ্রপুরে ধারালো অস্ত্রের কোপ পুলিশকর্মীকে। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন নরেন্দ্রপুর থানার এসআই শান্তনু ব্যাধ। তবে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করেন বাকি পুলিশকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার গড়িয়ার আর্যনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের শ্লীলতাহানির একটি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। বুধবার রাতে অভিযুক্তদের ধরতে গেলে পুলিশের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন নীলরতন পাল (৭৬), সৌম পাল ওরফে বাবু (২৩) এবং শ্যামল পাল ওরফে বাপি (৪১) নামে তিনজন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি।