জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চোরের ফেলে যাওয়া লেডিবার্ড সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরতে হল হবু বরকে। ঘটনাটি ঘটে চুঁচুড়ার ইমামবাজার এলাকায়। সৈয়দ মহম্মদ ওয়াসিমের বাড়ি হুগলি ইমামবাড়ায়। ২ ফেব্রুয়ারী তার বিয়ে। দাদার বাড়ি আইবুড়ো ভাত খেতে এসেছিল। আর সেখানেই বাইক চুরি হয়ে যায়। জানা গেছে একই সময়ে আরও একটি বাইক চুরির ঘটনা ঘটে ওই এলাকায়।
ওয়াসিম বলেন,গতকাল রাত পৌনে দশটা নাগাদ ইমামবাজারে আমার বড়দা সৈয়দ মহম্মদ মুকারমের বাড়িতে আই বুড়ো ভাত খেতে গিয়েছিলাম।বাইকটি বাড়ির বাইরে গলিতে রাখা ছিল।সেখানে আমার দুই দাদার বাইকও ছিল। খাওয়া দাওয়া করে রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ বাইরে বেরিয়ে দেখি আমার বাইক নেই। পাশে একটা লেডিবার্ড সাইকেল রয়েছে। এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করি। কেউ কিছু বলতে পারেনা। বাইক হ্যান্ডেল লক করা ছিল। লক ভেঙে নিয়ে গেছে। বিয়ের আগে বাইক চুরি হওয়ায় কিছুটা হলেও কাজের অসুবিধা হল। হুগলি চুঁচুড়া ব্যান্ডেল বিভিন্ন জায়গায় বিস্তর খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু বাইকের সন্ধান মেলেনি।অগত্যা চোরের ফেলে যাওয়া সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরি।পুলিশকে জানানো হয়। চুঁচুড়া থানার পুলিশও খোঁজ করে। কিন্তু চোর বা বাইকের সন্ধান এখনও মেলেনি।
শীতের রাত দশটা সাড়ে দশটায় বাড়ি বাইরে কেউ থাকেনা।রাস্তাঘাটে লোকজন খুব একটা দেখা যায় না।এই সুযোগকেই কাজে লাগায় চোর।গলি রাস্তা দিয়ে তারা যাতায়াত করলেও নাক মুখ ঢাকা থাকে তাই চেনার উপায় থাকে না, কে বহিরাগত এলাকার। পুলিশ টহল দেয় শহরের বড় রাস্তায়।ভেতরের রাস্তাগুলোতে নজরদারি থাকে না।
কয়েক বছর আগে সাইকেল চুরি বেড়েছিল শহর চুঁচুড়ায়।রাস্তা ঘাটে তো সাইকেল চুরি চলতই। বাড়ি ফ্ল্যাট থেকেও চুরি হচ্ছিল সাইকেল। পুলসের তৎপরতায় ধরপাকড়ে সেই চুরি বন্ধ হয়। আবার শীতের রাতে বাইক চুরির ঘটনায় চিন্তায় শহরবাসী।