জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যু কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর। সুপার-সহ জুনিয়ার এবং সিনিয়ার মিলিয়ে মোট ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করল রাজ্য। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যদপ্তর এবং সিআইডির জোড়া তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তাঁদের গাফিলতি রয়েছে সেটি প্রমাণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'প্রসূতির অপারেশনে দায়িত্ব পালন করেননি সিনিয়াররা। নিয়ম মেনে কাজ করলে প্রসূতির মৃত্যু এড়ানো যেত।'
১২ জন চিকিৎসক যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আরএমও এবং এমএসভিপি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, কীভাবে এত পরিষেবা উন্নত করার পরও ওই প্রসূতি এবং শিশুকে বাঁচানো যায়নি। তাঁর কথায়, 'যাঁদের কাছে মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়, যাঁদের হাতে সন্তান জন্মায়, তাঁরা দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করলে মা এবং সন্তানকে বাঁচানো যেত।'
সাসপেন্ড হওয়া ১২ জন চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছেন একজন বেড ইনচার্জ, একজন সিনিয়র ডাক্তার, একজন বিভাগীয় প্রধান, এমএসভিপি, একজন সিনিয়র রেসিডেন্ট এবং ছয় জন পিজিটি পড়ুয়া। মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার করে জানান, 'সিনিয়র চিকিৎসকদের কাছে আমার আবেদন, আট ঘন্টার যে ডিউটি অ্যালট করা হয়, অনেকে এই সময় শুধু সই করে চলে আসেন। সরকারি চাকরিও করব আবার একই সময়ে প্রাইভেটে চিকিৎসা করব, এটা হতে পারে না।' পাশাপাশি যখন ট্রেনিং চিকিৎসক রোগী দেখতে যাবেন তখন যেন অবশ্যয় একজন সিনিয়র চিকিৎসক তাঁদের সঙ্গে থাকেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপের সঙ্গে নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে (স্বাস্থ্যসচিব) বলেন, 'আমি নারায়ণ-কে বলব সব ওটির বাইরে সিসিটিভি লাগানোর জন্য। যদি কেউ আপত্তি করে তাহলে তাঁকে বলুন বাড়িতে গিয়ে বসে থাকতে বা অন্য জায়গা দেখে নিতে।'