স্যালাইন কাণ্ডে স্বাস্থ্যদপ্তর-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের, ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
প্রতিদিন | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
গোবিন্দ রায়: স্যালাইন কাণ্ডে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর ও মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতিদের প্রশ্ন, স্যালাইন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তার ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ চাইল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি স্যালাইন কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যকে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্য জানান, সব হাসপাতালে রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কোন কোন রোগী এই স্যালাইন ব্যবহার করেছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরকে রিপোর্ট দিতে হবে। কেন্দ্র জানাবে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কর্ণাটক যে ১২টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তারও রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম প্রশ্ন করেন, ফার্মা কোম্পানির বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য? রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, তিনটে ব্যাচের স্যালাইন ওই কোম্পানির তৈরি ছিল। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ওই একটি ব্যাচের ব্যবহার হয়েছে ৩০ হাজার স্যালাইন। সরকারি ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে। মুম্বই ল্যাবেও হয়েছে। এই কোম্পানি দেশের সব রাজ্যেই সরবরাহ করে, যুক্তি রাজ্যের।
বিচারপতি জানতে চান, “আপনারা কি ফার্মা কোম্পানিকে নোটিস দিয়েছেন?” রাজ্য জানিয়েছে, না এই মর্মে নোটিস দেওয়া হয়নি। বিচারপতিরা বলছেন, “যে মুহূর্তে রোগী মারা গেলেন আপনাদের উচিৎ ছিল নোটিস দেওয়া। এত দেরি হল কেন?” রাজ্য বেনিফিট অফ ডাউট দিচ্ছে কী করে, এটা তো ওয়েল ফেয়ার স্টেট, তাই না? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। আগামী ৩০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।