যাত্রাপথ ৫ ঘণ্টারও বেশি। এতটা সময় যাত্রীদের জন্য শৌচাগার না থাকায় তৈরি হয়েছিল সমস্যা। শিয়ালদহ-লালগোলা লোকাল ট্রেনের বাথরুম যুক্ত কামরা তুলে দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। মাঝপথে কি রানাঘাট স্টেশনে ট্রেন বাড়তি সময় দাঁড়াবে? কবে মিটবে এই সমস্যা? কী জানাল রেল?
শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মুর্শিদাবাদের লালগোলা স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২২৭ কিলোমিটার। এত দিন ধরে লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে শৌচালয় যুক্ত কামরা থাকার কারণে সুবিধা হতো যাত্রীদের। বিশেষত বয়স্কদের জন্য এই ব্যবস্থা খুবই উপযোগী ছিল। তবে যাত্রীদের দাবি, সম্প্রতি শৌচালয় যুক্ত কামরা দেওয়া হচ্ছে না ট্রেনে। ফলত, দীর্ঘ যাত্রাপথে শৌচকর্ম করতে না পারার জন্য বেজায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। একাধিক সূত্রে খবর, রানাঘাট স্টেশনে ট্রেন কিছু সময় দাঁড় করানো হবে লালগোলা প্যাসেঞ্জার। অন্তত ৫ মিনিট।
যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিমান দত্ত জানান, রানাঘাট স্টেশনে বেশিক্ষণ স্টপেজ দেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রস্তাব এসেছে, তবে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মাঝেমধ্যে ট্রেনের রেক পরিবর্তন করা হয় বিভিন্ন রুটে। সেই কারণে এই ট্রেনে শৌচাগারযুক্ত কামরা এখন দেওয়া হচ্ছে না। তবে শীঘ্রই ফের শৌচাগারযুক্ত কামরা দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের বক্তব্য, শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট কম দূরত্ব হলেও রানাঘাট থেকে লালগোলা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। ফলত রানাঘাট স্টেশনে বাড়তি সময় স্টপেজ দিয়েও খুব একটা লাভ নেই। আর এক যাত্রীর কথায়, ‘এ ভাবে বেশিক্ষণ স্টপেজ দিয়ে কোনও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধান হবে না। চার-পাঁচ ঘণ্টার যাত্রাপথে আগের সিস্টেমই ভালো ছিল।’