মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সিজ়ারের পর প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল গোটা রাজ্যে। ঘটনায় স্বাস্থ্য দপ্তর এবং সিআইডির তদন্তে চিকিৎসকদের গাফিলতি উঠে এসেছে। সুপার, আরএমও-সহ মোট ১২ জনকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালেই বন্ধ রয়েছে ব্ল্যাক লিস্টেট সংস্থা ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর সরবরাহ করা ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ (আরএল) স্যালাইন ব্যবহার। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে রোগীর পরিজনদের বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে সেই আরএল।
বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানের আরএল-এ ফাঙ্গাস পাওয়ার অভিযোগ পরিজনদের।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি থাকা আনন্দপুর থানার সাহসপুরের প্রসূতি সুদীপা দেলুইয়ের জন্য পরিজনেরা আরএল-সহ অন্যান্য ওষুধ কিনতে যান। পরে তা নিয়ে ওয়ার্ডে যান তাঁরা। সেখানে আয়াকর্মীরা দেখতে পান বোতলে ফাঙ্গাস রয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পরই আঁতকে ওঠেন পরিবারের সদস্যরাও। সুদীপার ভাই বিভাস দোলুই বলেন ‘ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকান থেকে আলএলটি কেনা হয়। তারপরেই দেখা যায় একটি বোতলে রয়েছে ফাঙ্গাস।’ বিষয়টি জানতে পেরেই সুলভ মূল্যের ওষুধ দোকানে বিল নিয়ে পৌঁছে যান বিভাস। দোকান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
হাসপাতালের অধ্যক্ষা মৌসুমী নন্দী অবশ্য জানান, তাঁদের কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অন্যদিকে, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘সদ্য বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অভিযোগ এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’