কলকাতা বইমেলার ঢাকে কাঠি পড়তে বাকি আর ১২ দিন। ২৮ তারিখ থেকেই সল্টলেক বইমেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমাবেন বইপ্রেমীরা। তবে আন্তর্জাতিক বইমেলায় এ বার থাকছে না বাংলাদেশের কোনও স্টল। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও পরবর্তীকালে সংখ্যালঘুদর উপর অত্যাচারের অভিযোগ আসার পরেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়েছে। এ বার বাংলাদেশ হাই কমিশন বইমেলায় স্টল দেওয়ার ব্যাপারে কোনও উৎসাহ দেখায়নি।
১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি বছর কলকাতা বইমেলায় স্টল দিচ্ছে বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থাগুলি। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড জানিয়েছে, বাংলাদেশ হাই কমিশন এ বার বইমেলাতে স্টল দেওয়ার ব্যাপারে কোনও উৎসাহ দেখায়নি। বাংলাদেশের একটি পুস্তক সংস্থা এই ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করলেও কলকাতা বুকশেলার্স এন্ড পাবলিশার্স গিল্ড পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী হাই কমিশনের মাধ্যমেই আবেদন করতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম কিছুদিন আগেই গিল্ডকর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়কে মেল করে বইমেলায় আসার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ত্রিদিব জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে গিল্ডের কিছু করার নেই। এ বিষয়ে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছেন।
এ বারের বইমেলায় আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইরান, রাশিয়া, স্পেন, আর্জেন্টিনা, পেরু, কোস্টারিকা, ইরান-সহ লাতিন আমেরিকার একাধিক দেশ অংশগ্রহণ করছে। থাকছে দিল্লি, অসম, ত্রিপুরা,বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা, তামিলনাড়ু, গুজরাট, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের স্টল। এ বারের থিম-কান্ট্রি জার্মান।
উল্লেখ্য, গত বছরের বইমেলায় প্রায় ২৩ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। মেলায় হাজির হয়েছিলেন প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ। এ বার সেই রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে বলে আশা করছে গিল্ড। ২০২৫-এর ৪৮ তম বইমেলায় ‘সাহিত্য সম্মান’ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে সাহিত্যিক আবুল বাশারকে।