• মহাকুম্ভের ‘আইআইটি বাবা’র নাম তো শুনেছেন, গঙ্গাসাগরের ‘টফি বাবা’, ‘এলএলবি সাধু’দের চেনেন কি?
    এই সময় | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ মেলা। মহাকুম্ভের আসর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধুবাবা। ‘আইআইটি বাবা’, ‘চাওয়ালা বাবা’, ‘রাবড়ি বাবা’ কিংবা ‘স্প্লেন্ডর বাবা’র নাম এখন নেটিজ়েনদের মুখে মুখে ঘুরছে। এই রকম ‘ভাইরাল বাবা’দের জমায়েতে কিন্তু পিছিয়ে নেই আমাদের বাংলার গঙ্গাসাগর মেলাও।

    মহাকুম্ভের রাবড়ি বাবা কিংবা আইআইটি বাবাকে, জনপ্রিয়তায় জোর টক্কর দিতে পারেন গঙ্গাসাগর মেলার ‘টফি বাবা’, ‘এলএলবি সাধু’রা। মহাকুম্ভে যেমন সকাল থেকে ভক্তদের হাতে রাবড়ির প্লেট তুলে দেন রাবড়ি বাবা, তেমনই টফি বাবা তাঁর ভক্তদের আশীর্বাদ করেন লজেন্স দিয়ে।

    পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের তারাপীঠ তাঁর সাধন ক্ষেত্রে। এখন অবশ্য তিনি আছেন গঙ্গাসাগরে। তাঁর আসল নাম শনি মহারাজ। কিন্তু ওই বিশেষ আশীর্বাদের ভঙ্গির জন্য লোক মুখে তাঁর নাম হয়ে গিয়েছে টফি বাবা। শনি মহারাজ মনে করেন, মানুষের মধ্যে সুখের সঞ্চার করা আধ্যাত্মিকতার এক গভীর রূপ।

    সংবাদ চ্যানেল ‘আজ তক’কে তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোনও দেবতা নন, সাধুবাবাও নন। তিনি নিজেকে ‘রাক্ষস’ বলেই মনে করেন। কিন্তু তিনি কখনও কারও সঙ্গে অন্যায় করেননি। সমাজে সুখ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই তিনি ভক্তদের লজেন্স উপহার দেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা আমায় চায়, আমি তাদের জন্য সব সময় আছি। গঙ্গাসাগর মেলার পর, আমি প্রয়াগরাজে যাব।’

    বম্বে আইআইটি থেকে অ্যারোস্পেস এঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা অভয় সিং, পরবর্তী সময়ে সাধকের জীবন বেছে নিয়েছেন। মহাকুম্ভে এই আইআইটি বাবার কাহিনি লোকের মুখে মুখে ঘুরছে। প্রায় তাঁর মতোই এলএলবি ডিগ্রিধারী এক বাবাকে এখন দেখা যাচ্ছে গঙ্গাসাগরে।

    উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন এই নাগা সাধু। গত ১৯ বছর ধরে, এই সন্ন্যাসী দাঁত মাজেন না, মুখ ধোন না। তাঁর আসল নাম এখন হারিয়েই গিয়েছে। এলএলবি ডিগ্রির জন্য লোকে তাঁকে চেনে এলএলবি সাধু নামেই। এই নাগা সাধু জানিয়েছেন, তিনি খুব সামান্য খাদ্য গ্রহণ করেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি শুধু আলু, চা, চিনাবাদাম এবং গাঁজা খাই।’

  • Link to this news (এই সময়)