• বিধায়কের কাজের খতিয়ান চাইলেন সাংসদ, দিনভর রচনা-মনোরঞ্জন ‘দ্বৈরথ’ হুগলিতে
    এই সময় | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • একজন বললেন, ‘ওঁকে ডাকলেও আসেন না।’ দ্বিতীয়জন বললেন, ‘আমাকে ডাকা হয় না, তাই যাই না।’ প্রথমজন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয়জন হুগলির বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বিধায়কের কাজের খতিয়ান দেখতে ডেকেও পাঠালেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়কের স্পষ্ট জবাব, ‘হিসেব দিয়ে দেবো।’ বৃহস্পতিবার দিনভর সাংসদ-বিধায়ক দ্বৈরথ দেখলেন হুগলির বাসিন্দারা। 

    গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশনের সদস্যদের নিয়ে এ দিন বলাগড়ে গঙ্গা ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে যান সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কর্মসূচিতে এলাকার একাধিক  জনপ্রতিনিধিদের দেখা গেলেও বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে দেখা যায়নি। বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে এর পর নিজের অফিসে ডেকে পাঠান সাংসদ রচনা।

    বিধায়ককে তলবের আগে রচনা বলেন, ‘ বিধায়কের সে ভাবে এলাকায় দেখা যায় না।  আমি তো ওঁকে দেখতে পাইনি। এর আগে আমি নিজে ওঁকে বলেছি আমাদের অনুষ্ঠান হলে আপনি আসবেন। কিন্তু উনি আসেন না। কী বলব বলুন? উনি এলে আমরা খুশি হতাম।’ 

    সন্ধ্যায় পোলবার সুগন্ধায় সাংসদের দপ্তরে দেখা করতে যান মনোরঞ্জন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বৈঠক হয় তাঁর। সাংসদ অফিস থেকে বেরিয়ে মনোরঞ্জন বলেন, ‘উনি সাংসদ হিসেবে আমার কাজের হিসাব চাইতেই পারেন। আমি যা যা কাজ করেছি তার হিসাব দিয়ে দেবো।’ কিন্তু হঠাৎ হিসাব কেন চাইলেন রচনা? সাংসদের উত্তর, ‘আমি অনেক জায়গায় যাচ্ছি, সেখানে বলছে অনেক কাজ করতে হবে। তাই বিধায়ককে বলেছি কী কাজ হয়েছে তা জানাতে।’

    দিনভর টানাপোড়েনের পর কি মধুরেণ সমাপয়েৎ? রচনার সংযোজন, ‘আসলে বাচ্চারা যেমন হয়। ওঁর বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই বেবি সুলভ আচরণ করছেন। একটু ফোন করে বললাম আপনি আসুন। তাতে উনি এলেন, খুশি হয়ে একটু চা খাওয়ালাম। আশা করি আগামী দিনে উনি থাকবেন আমার সঙ্গে।’

  • Link to this news (এই সময়)