‘প্রিয়’ সারমেয়কে হত্যার পর কেটে মাংস বিক্রির চেষ্টা মালিকের! শোরগোল জলপাইগুড়িতে
প্রতিদিন | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কথায় আছে, পাগলে কী না করে! হাতেনাতে তার প্রমাণ পেলেন জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির পানবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা। কুকুরকে হত্যার পর কেটে বাজারে এসে মাংস বিক্রির চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি! ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম দীপক রায়। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির পানবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা কমবেশি সকলেই তাকে চেনেন। কারণ, ওই ব্যক্তি সর্বক্ষণ একটি সারমেয়কে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতেন। কখনও আবার শাক-সবজি নিয়ে বাজারে বিক্রি করতেও বসতেন। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই মাংস নিয়ে বাজারে বসেন তিনি। দাবি করেন, কচি পাঁঠার মাংস। কিন্তু দীপকের মানসিক সমস্যা রয়েছে, তা কমবেশি সকলেই জানতেন। ফলে তাঁদের সন্দেহ হয়। জোর করে দীপকের ব্য়াগ খুলতেই চক্ষুচড়়কগাছ! দেখা যায়, ব্যাগে একটি কুকুড়ের মাথা ও চামড়া।
স্থানীয়দের দাবি, যে কুকুরটিতে সর্বক্ষণ সঙ্গে নিয়ে ঘুরতেন, সেটিকে মেরে কেটে মাংস নিয়ে এসেছেন ওই ব্যক্তি। স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক দীগেন্দ্র নাথ রায় জানান, কুকুরটিকে কখনোই কাছ ছাড়া করতেন না দীপক। খবর পেয়ে পুলিশ হাজির হয় বাজারে। দীপককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক ব্যক্তির চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। ময়নাগুড়ি পরিবেশ কর্মী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু রায় বলেন, “যে নিজের আদরের পোষ্যকে এভাবে খুন করতে পারে, সে অসুস্থতার কারণে আরও অনেক কিছু করতে পারেন।” ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ জানান, প্রাথমিক তদন্তে তাদের অনুমান অভিযুক্ত ব্যক্তির মানসিক অবস্থা ঠিক নেই বলেই এই ধরনের ঘটনা।