সংবাদদাতা, কান্দি: সালারে দ্রুতগতির বাইকের ধাক্কায় পা ভাঙল পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যার। বৃহস্পতিবারের সে যখন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল, তখন চৌরঙ্গী মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাকে সালার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনায় বাসিন্দারা চরম ক্ষুব্ধ। এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেছেন তাঁরা। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়াভাবে বাইক চলাচল করছে। তার ফলে গত কয়েকমাসে চৌরঙ্গী মোড় এলাকাতে অন্তত এক ডজন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও পুলিসের পক্ষ থেকে কোনও ভারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাছাড়াও মাসখানেক আগে হিন্দুপাড়া, সাহাপাড়া, চালপট্টি ও বাজার এলাকায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ বাইক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে যুবকরা জড়িত। পুলিসের কড়া পদক্ষেপ না থাকায় যুবকরা দ্রুতগতিতে বাইক চালানোর সাহস পায়। তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এদিন সকাল ১১টা ৪০ নাগাদ ব্যস্ততম চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় এক যুবক দ্রুতগতিতে বাইক চালাচ্ছিল। সেইসময় নাজমিন খাতুন নামে এক কেজি টু ক্লাসের ছাত্রী রাস্তার পাশ ধরে একাই বাড়ি ফিরছিল। কিন্তু বেপরোয়া চালক বাইকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছাত্রীকে ধাক্কা মারে। তারপর দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে দাবি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার বিষয় সালার থানায় জানানো হলেও এদিন দুপুর পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা খোকন সাহা, সামিউল হক, স্থানীয় ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন শেখ বলেন, বারবার এই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিসকে বলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই আমরা এখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিসের কাছে দাবি করেছি। ওই ছাত্রীর মা সামসুননিহার খাতুন জানান, মেয়ে প্রতিদিন রাস্তার একপাশ ধরেই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে। আজও সেভাবে বাড়ি ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সালার থানার পুলিস জানিয়েছে, দ্রুত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।