সাঁইথিয়ায় ময়ূরাক্ষীর পাড় দখল করেই চলছে বেআইনি নির্মাণ, নীরব প্রশাসন
বর্তমান | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, সিউড়ি: সাঁইথিয়া শহরে ময়ূরাক্ষী নদীর পাড় দখল করে বেআইনি নির্মাণ চলছে। নদীর পাড় সংলগ্ন জায়গায় মাটি ভরাট করে এলাকাগুলি অবাধেই দখল করে নিচ্ছে বাসিন্দাদের একাংশ। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সরকারি জমির বেআইনি জবরদখলমুক্ত করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও এভাবে নদীর পাড় অবাধেই দখল হচ্ছে বলে অভিযোগ।
সিউড়ির দিক থেকে যাওয়া ময়ূরাক্ষী নদী নরসিংহপুর গ্রামের কিছুটা আগে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি কানা ও আর এক ময়ূরাক্ষী নদী নামে সাঁইথিয়ার দিকে এগিয়ে ফের মিলিত হয়েছে। এই বিভক্ত হওয়া এলাকাতেও নদীর পাড়ে জনবসতি গড়ে উঠছে। গ্রামগুলিতে কিছু জায়গায় নদীর পাড়ে কুঁড়েঘর গড়ে বসবাস করছেন অনেকে। নদীর এই যাত্রাপথে একাধিক গ্রাম ও সাঁইথিয়া শহরের একদিকে নদীর পাড় দখল করে বেআইনি নির্মাণকাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শহরে ঢোকার অনেক আগে থেকেই বেশকিছু জায়গায় পাড় দখল হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়া নতুনব্রিজের কাছ থেকে কিছুটা দূরেই নদীর দুই পাড়ে শহরের জনবসতি রয়েছে। সেখানেই নদীর তীরে বসবাসকারীরা অনেকেই নদীর পাড়ের কিছুটা অংশ দখল করে নিয়েছেন। নির্মাণকাজ করে স্থায়ীভাবে বসবাসও করছেন অনেকে। অনেকেই এভাবে পাড় দখল করে বাড়ির লাগোয়া কিছুটা অংশ ঘিরে নিয়ে তাতে বাগান বা ফুলের টবের কারখানা করছেন। কেউ আবার গোয়াল, কেউবা ছোট ঘর করে তাতে বসবাসও করছেন। অনেকে আবার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে গোডাউনও করেছেন। অর্থাৎ এই নতুন ব্রিজ থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর যাওয়ার রাস্তার গা দিয়েই গিয়েছে এই ময়ূরাক্ষী নদী। আর সেই রাস্তা ধরেই নদীর পাড় দখলের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া এই নদীর যাত্রাপথে একাধিক জায়গায় অবৈজ্ঞানিকভাবে বালি তোলার অভিযোগ রয়েছে।
পাড় ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাওয়ার কারণে সংকীর্ণ হচ্ছে নদীর গতিপথ। বর্ষার সময় নদীতে বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা। অর্থাৎ বিপুল পরিমাণ জল এই নদী দিয়ে বের হওয়ার সময় নদীর দু’কূল ছাপিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। বেআইনিভাবে দখল হওয়া নদীর পাড় প্লাবনের জলে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাতে প্রাণহানিরও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও এনিয়ে হেলদোল নেই জেলা সেচদপ্তরের। দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বিস্তীর্ণ নদীর পাড় দখলমুক্ত করার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। আগামী দিনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।