সাজ্জাক-আব্দুলের খোঁজে ৪ লক্ষের পুরস্কার ঘোষণা, ‘বিহারে পালিয়েছে’, ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি মন্ত্রীর
বর্তমান | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ ও সংবাদদাতা, ইসলামপুর: পাঞ্জিপাড়ায় পুলিসের উপর গুলিচালনার ঘটনায় দুই অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম ও তার সহযোগী আব্দুল হোসেনের খোঁজ দিতে পারলে দু’লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করল ইসলামপুর পুলিস জেলা। দু’জনের খোঁজেই চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। যদিও ঘটনার পর অভিযুক্ত বাংলায় রয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানী। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত বিহার পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে পাঞ্জিপাড়া কালীবাড়ি একেবারে সীমানা এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিমি দূরে বিহার। ২০ কিমি দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত এবং নেপাল প্রায় ৯০ কিমি। তাই তাঁর সন্দেহ, দুঃসাহসিক এই ঘটনার পর মূল অভিযুক্তদের বাংলা ছেড়ে চম্পট দেওয়া খুব সহজ। যদিও এ ব্যাপারে পুলিস স্পষ্ট করে কোনও ইঙ্গিত দেয়নি।
বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ইসলামপুর মহকুমা আদালত থেকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে প্রিজন ভ্যানে বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক সহ ৩ জনকে নিয়ে রায়গঞ্জ ফিরছিল পুলিস। এমন সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে জাতীয় সড়কের উপরেই প্রিজন ভ্যান থামানোর অনুরোধ করে সাজ্জাক। এরপর গাড়ি থামতেই সুযোগ বুঝে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সাজ্জাক। দুই পুলিসকর্মী রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়তেই চম্পট দেয় সে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিসের উপর হামলার ঘটনা ঘটনাস্থলে গাছে লাগানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। সেই তথ্য ও ফুটেজ বুধবার রাতেই সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। রাতেই ঘটনাস্থল খতিয়ে হয়েছে স্নিফার ডগ দিয়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার।
এদিকে গুলিকাণ্ডের পর ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার দিনভর কালীবাড়ি এলাকা ছিল থমথমে। এলাকার বেশিরভাগ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গুলিকাণ্ড নিয়ে আতঙ্কিত। স্থানীয় ব্যবসায়ী সালামত, অশোক নাহারা প্রায় ১৫ বছর ধরে এলাকায় দোকান চালাচ্ছেন। তাঁরা কেউই এধরনের দুঃসাহসিক ঘটনা আগে কখনও দেখেননি। তাঁদের কথায়, বিকট শব্দ হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে বোঝা যায়নি পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। কয়েকজন ছুটে গিয়ে দেখি দু’জন পুলিসকর্মী জখম অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে আমরাই হাসপাতালে পাঠাই। কুড়ি মিনিট পর পুলিস পৌঁছয়। - নিজস্ব চিত্র।