• শীর্ষ আধিকারিক গড়ার সলতে পাকালেন মালদহের আইএএস, ডব্লুবিসিএস কর্তারা
    বর্তমান | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মালদহ: সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা শুধু এদেশের নয়, বরং বিশ্বের কঠিনতম পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম। এই পরীক্ষায় সফল হওয়া যেমন মুখের কথা নয়, তেমনই এই পরীক্ষায় যাঁরা সফল হন তাঁদের বেশিরভাগেরই মূল সম্বল আত্মবিশ্বাস। বৃহস্পতিবার বিকেল ও সন্ধ্যার মেলবন্ধনের মুহূর্তে বইমেলায় ভিড় করা তরুণ প্রজন্মের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের আত্মবিশ্বাসের প্রদীপের সলতেয় এভাবেই যেন অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দিলেন মালদহ প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা অভিজ্ঞ আধিকারিকরা।  এদিন বইমেলার ‘বিকেলের ব্যালকনি’ মঞ্চে হাজির ছিলেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া,  অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শেখ আনসার আহমেদ, ডব্লুবিসিএস (এগজিকিউটিভ)  পরীক্ষায় সফল হয়ে মালদহ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পেম্বা নরবু শেরপা, মারুফা সুলতানা, জিনিয়া সাহা প্রমুখ। ছিলেন জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক দেবব্রত দাস, বইমেলা কমিটির অন্যতম যুগ্মসচিব প্রসেনজিৎ দাস, আশিস কুণ্ডু, প্রকাশ মিশ্র প্রমুখ। জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া আগামীর ইউপিএসসি বা রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার উৎসাহী পরীক্ষার্থীদের চাঙ্গা করতে বলেন, আইএএস, আইপিএস পরীক্ষায় প্রতি বছর প্রায় ১৩ লক্ষ প্রতিযোগী অবতীর্ণ হন। শেষ পর্যন্ত সফল হন মাত্র ১৮০ জন। সুতরাং এই সংখ্যাটি মাথা থেকে সরিয়ে রাখতে হবে। শুধু মাথায় রাখতে হবে নিজের মেধা ও আত্মবিশ্বাস সম্বল করে স্থান করে নিতে হবে ওই ১৮০ জনের মধ্যে।  পাশাপাশি তাঁর উপদেশ, পরীক্ষায় সাফল্য না এলে ভেঙে পড়লে চলবে না। বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখতে হবে। চরম আর্থিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে দেশের সর্ব কনিষ্ঠ আইএএস আধিকারিক শেখ আনসার আহমেদ এই মূহুর্তে মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক।  তিনি বলেন, পরীক্ষা কোন ভাষায় দেওয়া হল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি মারাঠি ভাষায় পরীক্ষা দিয়েছি। তাঁর বক্তব্য, ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা পড়ার দরকার নেই। বরং প্রয়োজন প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিয়ম করে পড়া।


    (জেলা গ্রন্থাগারের বই ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা নিয়ে মালদহ থেকে পিএসসি পরীক্ষায় সফল এক তরুণকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। ইংলিশবাজারে বইমেলায় তোলা- নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)