• যাত্রীদের কাছে পৌঁছে টিকিট দিচ্ছেন টিটিই, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন পুণ্যার্থীরা
    বর্তমান | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: কাকদ্বীপ স্টেশন ভিড়ে ঠাসা। টিকিট কাউন্টারে পুণ্যার্থীদের লম্বা লাইন। সবাই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চান। ট্রেন ধরার জন্য চরম ব্যস্ততা। মাথায় ভারী ব্যাগ নিয়ে ভিড় ঠেলে স্টেশনে ঢুকলেন ৮০ বছরের বাগদিরাম আগরওয়াল। তিনি ১৪ জানুয়ারি মহারাষ্ট্র থেকে পুণ্যার্জনের আশায় গঙ্গাসাগরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাকদ্বীপ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পরিবার সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ক্লান্ত শরীর। ব্যাগপত্র নিয়ে হাঁটতেও পারছিলেন না। মাথা থেকে বোঝা নামিয়ে স্টেশনে ওঠার সিঁড়িতেই বসে পড়লেন। তাঁকে দেখেই ছুটে আসেন এক টিটিই। হাতে ছোট একটি মেশিন। টাকা নিয়ে বাগদিরামের হাতে ট্রেনের টিকিট তুলে দিলেন। জানা গিয়েছে, ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিষেবার সুযোগ পেলেন বাগদিরাম। ১০ জানুয়ারি থেকে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে। কাউন্টারে লাইন না দিয়ে পুণ্যার্থীরা টিকিট কিনতে পারছেন।


    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য মোবাইল টিকিটের ব্যবস্থা হয়েছে। এ বছর গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কাকদ্বীপ স্টেশনে টিটিই সহ বিভিন্ন বিভাগে রেল ৮০ জন কর্মী নিযুক্ত করেছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০ টিটিই মোবাইল টিকিট পরিষেবা দিয়েছেন। এছাড়াও নামখানা স্টেশনে মেলার জন্য অতিরিক্ত ৫০ কর্মী বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। এই স্টেশনেও মোবাইল টিকিটের ব্যবস্থা ছিল। কাকদ্বীপ স্টেশনের ম্যানেজার সমীরণ হরি বলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলার সময় বহু পুণ্যার্থী ট্রেনে যাতায়াত করেন। পুণ্যস্নান সেরে বাড়ি ফেরেন। তখন স্টেশনগুলিতে সমস্যা হয়। বিশেষত টিকিট কাউন্টারে ঠিক মতো টিকিট কাটা যায় না। ট্রেন ধরার জন্য পুণ্যার্থীরা হুড়োহুড়ি করেন। বয়স্কদের বেশি সমস্যা। তাই মোবাইল টিকিটের ব্যবস্থা হয়েছিল।’ -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)