জেলা পরিষদ লাগোয়া বাইপাসের রাস্তায় ‘দখলদারি’, যানজটে নাকাল আম জনতা
বর্তমান | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: রোজই হাজার হাজার মানুষ আসেন বারাসত জেলা আদালতে। কিন্তু জেলা পরিষদ ও আদালতের মাঝের রাস্তাটি দখল করে রাখা থাকে অসংখ্য মোটরবাইক। এমনকী ওই রাস্তায় কখনও চার চাকাও পার্কিং করা থাকে। এভাবে গাড়ি রাখার জন্য যাতায়াত করতে নাস্তানাবুদ অবস্থা হয়। হুঁশ নেই কারও। বেদখল রাস্তায় সরকারি অফিসারদেরও গাড়ি নিয়ে আসতে নাকাল হতে হয়। কিন্তু কবে এই সমস্যার সমাধান হবে, জানেন না কেউ।
সদর শহর বারাসতে যানজট নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জেলা আদালতের আশেপাশে। আদালতের বিপরীত দিকেই রয়েছে জেলা পরিষদের ভবন। তার মাঝে রয়েছে উকিলদের বসার একাধিক অফিস (সেরেস্তা)। জেলা পরিষদ ও সেরেস্তার মাঝে রয়েছে কমবেশি ১০ ফুটের মতো চওড়া পাকা রাস্তা। এর মধ্যেই রয়েছে একাধিক চা, খাতা-পেনের দোকান। রাস্তাটি মিশছে কেএএনসি রোডে। মূলত কোর্টের সামনে যানজট এড়াতে এই বাইপাস রাস্তা করা হয়েছিল বহু বছর আগে। রাস্তাটি ব্যবহার করে স্টেশন সহ একাধিক সরকারি দপ্তরে সহজে যাওয়া যায়। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাই ‘দখল’ হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতে আসা উকিলরা তাঁদের বাইক এই রাস্তার উপরেই রেখে দেন। শুধু তাই নয়, উকিলদের কাছে আসা মক্কেল সহ অন্য সাধারণ মানুষও এখানে গাড়ি পার্কিং করেন। কেউ আবার রাস্তাতেই বাইকে রেখে চা খেতে চলে যান, বা জমিয়ে আড্ডা দেন। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত করা দায় হয়ে গিয়েছে। অফিসে যেতে সমস্যায় পড়তে হয় সরকারি কর্তাদেরও। সম্প্রতি, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ দপ্তরে গিয়ে এই অবৈধ পার্কিং নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন এক মহিলা অফিসার। কিন্তু তারপরেও অবস্থা তথৈবচ। ওই অফিসার অনিতা দাস বলেন, স্কুটারে করে আমি জেলা পরিষদে গিয়েছিলাম প্রয়োজনীয় কাজে। কিন্তু রাস্তার যা অবস্থা, তা আর বলার নয়। গুরুত্বপূর্ণ জেলা পরিষদের সামনেই যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে বাইরের অবস্থা ভাবুন।
এ নিয়ে বারাসত জেলা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ভাস্কর রায় বলেন, বারাসত আদালতে এখন প্রায় তিন হাজার আইনজীবী রয়েছেন। আমরা বারে বারে দপ্তরকে বলেছি, উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু হয়নি। ফলে, আইনজীবীরা বাধ্য হয়েই বাইক রাস্তায় রাখছেন। আমরা আবারও উপযুক্ত পরিকাঠামোর দাবি জানাচ্ছি।