এই সময়, মালদা: ফের মালদার সীমান্তে বিএসএফের গুলি। এবার চোরাচালান রুখতে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে গুলি চালালেন বিএসএফের মহিলা জওয়ানরা। চোরাচালানে বাধা পেয়ে ওপার থেকে ইঁট,পাথর, বর্শা ছুড়ে হামলার চেষ্টা চালায় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। আর সেই হামলা রুখতে আক্রমাত্মক হয়ে ওঠেন বিএসএফের মহিলা জওয়ানরা।
পাল্টা গুলি ছুড়তেই অন্ধকারে গা ঢাকা দেয় সশস্ত্র একদল বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। বুধবার রাত আড়াইটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাঙ্গোলবান্দা সীমান্ত এলাকায়। ওই সীমান্তের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা অপরাধ সংগঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতের ঘটনায় হতাহতের খবর নেই। তবে পাঁচটি মোষ উদ্ধার করেছে বিএসএফ।
নাঙ্গোলবান্দা এলাকার সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফের ৮৮ নম্বর ব্যাটালিয়ন। যার মধ্যে মহিলা জওয়ানরাও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই এলাকা দিয়ে বেশ কিছু মোষ পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল ১৫–২০ জনের বাংলাদেশি পাচারকারী দল। বিষয়টি নজরে আসতেই কর্তব্যরত বিএসএফের মহিলা জওয়ানেরা তাদের সতর্ক করে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে গবাদি পশুগুলি খোলা সীমান্ত দিয়ে ওপারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় চোরাকারবারীরা। মহিলা জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করলে পাচারকারীরা ইট, পাথর এবং ধারালো অস্ত্র বিএসএফকে লক্ষ্য করে ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ। এরপরই মহিলা জওয়ানরা তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সীমান্তে গবাদি পশুগুলি ফেলে পালিয়ে যায় চোরাকারবারীরা।
হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু বলেন, ‘হবিবপুর এবং বামনগোলা দুটি ব্লক মিলিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। এই উন্মুক্ত সীমান্তের কারণেই ওপারে দুষ্কৃতীরা অপরাধ করার চেষ্টা চালায়।’ হবিবপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পীযুষ মণ্ডল বলেন, ‘এই এলাকার সীমান্তে বাংলাদেশি চোরাকারবারীদের উৎপাত রয়েছে। মাঝেমধ্যেই ওপারে দুষ্কৃতীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে ফসল কেটে পালায়’। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের এক জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।