• ভাঙন পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রীয় গঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ দল বলাগড়ে
    এই সময় | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, বলাগড়: লোকসভা ভোটে হুগলি কেন্দ্রের অন্যতম ইস্যু ছিল বলাগড়ে গঙ্গার ভাঙন। ভোটের প্রচারে সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি জয়ী হলে বলাগড়ে গঙ্গার ভাঙন প্রতিরোধে সংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। ভোটে জেতার পরেই রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সামনে বলাগড়ের গঙ্গা–ভাঙনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। এত দিনে সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হলো।

    রচনার আবেদনে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় গঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায় আসেন। লঞ্চে চেপে জলপথে বলাগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার ভাঙন পরিদর্শন করেন তাঁরা। ড্রোন উড়িয়ে গঙ্গার ভাঙন দেখা হয়। তার আগে গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট লাগোয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বৈঠক করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ফিরে গিয়ে ভাঙন নিয়ে রিপোর্ট দেবেন প্রতিনিধিরা।

    ভোটে জেতার মাত্র ছ’মাসের মাথায় সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বলাগড়বাসী। এ দিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন রচনা, সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা, বলাগড়ের বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস, গুপ্তিপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ, জেলা পরিষদ পঞ্চায়েত সমিতির ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন জিএফসিসি র ডেপুটি ডিরেক্টর রঞ্জিত কুমার, এডি দীপক কুমার ও এডি রোশন কুমার। তাঁরা পাটনা থেকে আসেন।

    তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন না বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি। বিকেলে চুঁচুড়ার সুগন্ধায় নিজের অফিসে বিধায়ককে তলব করে কাজের হিসাব চান রচনা। পরে মনোরঞ্জন বলেন,‘উনি সাংসদ হিসেবে আমার কাজের হিসেব চাইতেই পারেন। এ দিন বলাগড়ে ভাঙন পরিদর্শনে ছিলাম না, কারণ আমাকে কেউ বলেননি। সাংসদও ফোন করেননি। লোকসভা ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দলের কর্মসূচিতে না থাকতে। তাই থাকি না। তবে বিধায়ক হিসেবে যেখানে ডাকে, সেখানে যাই।’

    এ দিন সাড়ে এগারোটা নাগাদ বলাগড়ে পৌঁছন কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিরা। দলে ছিলেন সেচ দপ্তর ও নদী বিশেষজ্ঞরা। লঞ্চে চেপে গুপ্তিপাড়া থেকে চরকৃষ্ণবাটি পর্যন্ত ঘুরে দেখেন সকলে। এর পর একটি দল সড়ক পথে সুন্দরপুরে যায়। সেখান থেকে জলপথে চাঁদরা, মিলনগড় এলাকার ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গঙ্গা ভাঙনে চাঁদড়া, মিলনগড়–সহ খামারগাছি পর্যন্ত বিরাট এলাকা গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য রঞ্জিত কুমার বলেন,‘সাংসদ ভাঙন নিয়ে বলেছিলেন। আমাদের দপ্তরে চিঠিও দিয়েছিলেন। তাই আমাদের চেয়ারম্যান আমাদের পাঠিয়েছেন এখানে।’ রচনা বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি সাড়া পেয়েছি, তাই ধন্যবাদ দিল্লিকে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে। চেষ্টা করছি, দেখা যাক কী হয়।’

  • Link to this news (এই সময়)