• ডাক্তার ধর্ষণ-খুনে সর্বোচ্চ শাস্তি? অবশেষে আরজি কর মামলার রায়
    আজ তক | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৫ মাস পার। ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষকৃত্য নিয়ে তোড়জোড় চলছে কলকাতায়, তখনই খবর এল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উদ্ধার হল তরুণী ডাক্তারের দেহ। নৃশংতার সীমা পার করা ঘটনা। ধর্ষণ করে খুন। পাশবিক অত্যাচারের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল তরুণী ডাক্তারের দেহে। অর্ধনগ্ন দেহটি মিলেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে। সেই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করল সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। 

    কলকাতা সহ গোটা বাংলা দেখল অভূতপূর্ব প্রতিবাদ

    অভিযোগ উঠল, পুলিশ ও শাসকদল মিলে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে। ওই নৃশংসতায় আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত। কলকাতা সহ গোটা বাংলা দেখল অভূতপূর্ব প্রতিবাদ। শুরু হল 'মেয়েরা রাত দখল করো'। বাংলা ছাড়িয়ে সেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ল গোটা দেশে। জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন প্রতিবাদ শুরু করলেন। কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবা। এমনকী দুর্গাপুজোতেও সেই প্রতিবাদ চলল। উত্‍সব বয়কটের ডাক দিলেন বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদীরা। এরপর গত ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকর করলেন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। এরপরেই অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার। তীব্র প্রতিবাদের মুখে চাপে পড়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিনীত গোয়েলকে। আন্দোলনকারীদের দাবি, সব তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছেন বিনীত গোয়েলই। 

    অবশেষে রায় দেবে শিয়ালদা কোর্ট

    তারপর নানা বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, মিটিং, মিছিলে কেটে গিয়েছে ৫ মাস। ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। গত বছরের ১৩ অগাস্ট ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও সঞ্জয় রায়ের পরে ওই ঘটনায় আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। অবশেষে এল সেই দিন। বিচারের দিন। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই কি ওই তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করেছে? তারই উত্তর মিলবে শনিবার। ১৮ জানুয়ারি আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদা কোর্ট। শনিবার দুপুরে রায় ঘোষণা করবেন শিয়ালদা কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস।

    স্বতঃপ্রণোদিত মামলাটি চলছে সুপ্রিম কোর্টে

    এই মামলায় চার্জশিটে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নামই রেখেছে সিবিআই। চার্জশিটের ভিত্তিতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় ১১ নভেম্বর। প্রায় ২ মাস পরে রায় দিতে চলেছে নিম্ন আদালত। এই ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি সিবিআই।

    সন্দীপ এবং অভিজিৎ দুজনেই জামিন পেয়েছেন। অভিজিতের জেলমুক্তি হলেও আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষ এখনও জেল হেফাজতে। আরজি কর-কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিলেন দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জাতীয় টাস্ক ফোর্সও গঠন করে দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সেই মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে।

     
  • Link to this news (আজ তক)