• ১২ ডাক্তারের সাসপেনশন তোলার দাবি, মেদিনীপুরে কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা
    আজ তক | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে এই ১২ জনকে নিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত জানান। জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেন তাঁরা।

    প্রিন্সিপালকে ই-মেল করে কর্মবিরতির কথা জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তারেরা। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার  আরজি কর হাসপাতালে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর তরফেও সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। আজ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যাবেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। যাবেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও।

    শুক্রবার বিকেল ৫টায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ রয়েছে তাঁদের। গতকাল রাত থেকেই মেদিনীপুর হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে স্ত্রী রোগ এবং অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের ২২ জন জুনিয়র ডাক্তার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। আজ থেকে বাকি সব বিভাগেও জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি শুরু হবে। ৬ জুনিয়র চিকিৎসককে সাসপেন্ড প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁদের কর্মবিরতি চলবে বলে হুঁশিয়ারি।

    বৃহস্পতিবার দুটি তদন্ত রিপোর্টে ১২ জনের গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে তিনজন সিনিয়র ডাক্তার রয়েছেন। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা হলেন-মাতৃমা বিভাগে ইউনিট ১সি-র বেড ইনচার্জ দিলীপ পাল, সিনিয়র চিকিৎসক হিমাদ্রি নায়েক, আরএমও সৌমেন দাস, অ্যানাস্থেশিস্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়, পিজিটি প্রথম বর্ষের চিকিৎসক মৌমিতা মণ্ডল, পূজা সাহা, ইন্টার্ন চিকিৎসক সুশান্ত মণ্ডল, পিজিটি তৃতীয় বর্ষের চিকিৎসক জাগৃতি ঘোষ, ভাগ্যশ্রী কুন্ডু, পিজিটি প্রথম বর্ষের অ্যানাস্থেশিস্ট মণীশ কুমার, বিভাগীয় প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন, হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত।

    গত বুধবার অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি রাতে সিজারিয়ান সেকশন হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচ প্রসূতি। এদের মধ্যে মারা যান মামনি রুইদাস। বাকি চারজনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের গ্রিন করিডর করে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন এই তিন প্রসূতি। বাকি একজন অর্থাৎ এই রেখা সাউ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন। এক সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবারই রেখার কোল আলো করে এসেছিল শিশুটি। রেখার চিকিৎসা মেদিনীপুর মেডিক্যালেই চলছিল। হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে তিনদিন চিকিৎসা চলার পরে এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন তিনি। তবে রেখা সুস্থ হয়ে উঠলেও গত ৮ জানুয়ারি জন্মানোর পর থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁর সন্তানকে। বৃহস্পতিবার শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
  • Link to this news (আজ তক)