• শীতের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথমদিনের ভোরেই সারা বাংলা ডুবল ঘন গাঢ় কুয়াশার গভীরে...
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুক্রবার সকাল থেকে কুয়াশায় ঢাকা বাংলা। ফিরল কনকনে ঠান্ডা। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটির মধ্যেই বঙ্গে শীত-ফেরার ছবিটা এক।

    শুক্রবার সাতসকালেই কুয়াশায় ঢাকল গোটা জলপাইগুড়ি। কনকনে শীত, ঠান্ডায় জবুথবু জেলাবাসী। একদিকে কুয়াশা, অন্যদিকে কালো মেঘ। স্বভাবতই সূর্যের দেখা মেলেনি। রাস্তাঘাটে মানুষজনের চলাফেরাও অনেকটা কম। ঠান্ডার কারণে দোকানপাট দেরি করে খুলছে, আবার সন্ধ্যার পরে তাড়াতাড়ি বন্ধও হয়ে যাচ্ছে। চায়ের দোকানগুলিতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কুয়াশার কারণে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন, জ্বালিয়ে রাখছে আলো। তবে এই ঠান্ডা উপভোগ করছেন পর্যটকেরা। পর্যটকদের ঢল জেলা এবং সংলগ্ন জঙ্গল-পাহাড় এলাকায়। গতকাল বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৪ ডিগ্রি।

    একই ছবি পুরুলিয়ায়। কনকনে শীতের আমেজ সেখানে। শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি! ঠান্ডায় জুবুথুবু অবস্থা সাধারণ মানুষের। সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে রাস্তাঘাট। দৃশ্যমান্যতা কম থাকায় আলো জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকেরা। অবশ্য কয়েকদিন ধরেই রাতের দিকে বেশ কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছিল জেলায়। ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে রাস্তাঘাটে আগুন পোহচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

    এক শীত-ছবি ঝাড়গ্রামে। কথাতেই আছে 'মাঘের শীত বাঘে ডরায়'। সেই কথাই যেন সত্য প্রতিফলিত হচ্ছে। যত সময় যাচ্ছে, ততই যেন বাড়ছে ঠান্ডা। কনকনে ঠান্ডায় কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা হাওয়া অবস্থা কঠিন করে তুলছে। লেপ কাঁথার নীচে থাকলে নেহাত পেট চলবে না, তাই খেয়ে-খাওয়া-মানুষজনকে ভোর-ভোর বেরোতে হচ্ছে কাজে। তবে সেক্ষেত্রেও সমস্যা। হাত কনকন করছে। টানছে শিরা। সমস্যায় পড়ছেন চাষি থেকে বিভিন্ন কাজে যুক্ত মানুষজন। একটাই উপায়, আগুন জ্বেলে শরীরকে কিছুটা গরম করে নেওয়া। পৌষসংক্রান্তিতে তাপমাত্রা বাড়লেও ঝাড়গ্রামে ঠান্ডা ছিল যথেষ্টই। কিন্ত তার পর ফের ঠান্ডা পড়ায় জুবুথুবু অবস্থা সকলের।

    বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই এসেছে শুক্রবারের সকালের আবহাওয়া সংবাদ। বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও দিনের তাপমাত্রা কমল। শনিবার আরও পারদ পতনের ইঙ্গিত। শীতের আমেজ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। শুষ্ক আবহাওয়া বঙ্গে। বৃষ্টির কোনো আশঙ্কা নেই। উত্তরের একাধিক জেলায় ঘন কুয়াশার চাদর। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দক্ষিণের কিছু জেলাতেও। ওদিকে মধ্য ভারতে তৈরি হয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়ের উপর তৈরি হয়েছে এই ঘূর্ণাবর্ত। এর  জেরে ১৮ জানুয়ারি শনিবার থেকে উত্তুরে হওয়ার প্রভাব বেশি করে অনুভূত হবে বাংলায়। কিছুটা কমবে তাপমাত্রা। পরবর্তী শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় নীচে থাকার পূর্বাভাস।  আগামী ৭ দিন গোটা বাংলায় শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। অর্থাৎ, মাঘে শীত ফেরার উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)