• স্যালাইন কাণ্ডে সাসপেনশনের প্রতিবাদ, মেদিনীপুর মেডিক্যালে কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা
    প্রতিদিন | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • সম্যক খান, মেদিনীপুর: স্যালাইন কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশনের প্রতিবাদ। শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে কর্মবিরতিতে মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের সমস্ত বিভাগের জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, সাসপেনশন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। তবে চালু রয়েছে জরুরি ও ওপিডি পরিষেবা। এই আন্দোলনের জেরে ভোগান্তির আশঙ্কায় রোগীরা।

    গত কয়েকদিন ধরেই স্যালাইন কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। এক প্রসূতি ও এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর দায় ঘটনার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাঁধেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, চিকিৎসকরা সতর্ক হলে এই পরিস্থিতি হত না। এরপরই সাসপেন্ড করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার জয়ন্ত রাউত, আরএমও-সহ মোট ১২ সিনিয়র, জুনিয়র চিকিৎসককে। কয়েকঘণ্টার মধ্যে ওই হাসপাতালে সুপারের দায়িত্ব পান সাগর দত্ত মেডিক্যালের ইন্দ্রনীল সেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের সাসপেন্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতেই সুর চড়িয়েছিলেন আর জি করের আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার সকাল থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দেন। সেই মতো সকাল থেকেই শুরু হয়েছে কর্মবিরতি। তাঁদের সাফ কথা, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আর জি কর কাণ্ডের পরও কর্মবিরতির পথেই হেঁটেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন রোগীরা। দূর-দূরান্তের বহু মানুষ এসে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। চিকিৎসকের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে। তা সত্ত্বেও কেন প্রতিবাদের অংশ হিসেবে কর্মবিরতি? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।    

    উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত গত ৮ জানুয়ারি। ওইদিন রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঁচ প্রসূতির সি সেকশনের ঘটনায় যত বিপত্তি। মৃত্যু হয় প্রসূতি মামণি রুইদাসের। সদ‌্যোজাত পুত্রসন্তানকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তবে দুদিন পরই ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। জণ্ডিসের উপসর্গ ছিল তার। মাতৃমা বিভাগের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল সে। পরবর্তীতে তাকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচ প্রসূতির অসুস্থতাকে কেন্দ্র করেই ওঠে বিষাক্ত স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩ প্রসূতি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)