মহিলাদের অশালীন ছবি তোলার অভিযোগ কোন্নগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সিপিএম নেতা বাসুদেব ইন্দ্রর ছেলে রানা ইন্দ্রের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আটক করল কোন্নগর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, রানার কোন্নগর স্টেশন লাগোয়া সুপার মার্কেটে ঝালমুড়ির দোকান রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অতীতেও এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে বলে দাবি অন্য ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই দোকানে যে সমস্ত মেয়েরা ঝালমুড়ি খেতে আসতেন তাঁদের কোমরের ছবি তুলে রাখতেন রানা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কোন্নগর সুপার মার্কেট এলাকায় নিজের দিদির সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক মহিলা। সেই সময়েই রানা লুকিয়ে তাঁর কোমরের ছবি তুলছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। মহিলার দিদি বিষয়টি দেখতে পেয়ে বোনকে সতর্ক করেন। এরপর দুই তরুণী রানার থেকে ফোন কেড়ে নেন। তাঁদের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসেন অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও। তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় কোন্নগর ফাঁড়িতে। তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রানার বিরুদ্ধে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি ওই মহিলারা। কিন্তু বাজারের মধ্যে অশান্তি করার অভিযোগে পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
অভিযোগকারী তরুণী ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, তাঁরা প্রায়ই ওই বাজারে যান। বৃহস্পতিবার তাঁরা দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। অল্প দূরে রানা দাঁড়িয়েছিলেন। এরপরেই তাঁর দিদি তাঁকে সতর্ক করেন, জানান রানা তাঁর ছবি তুলছে। তরুণীর কথায়, ‘আমি প্রতিবাদ করলে রানা বলে মহিলাদের বিভিন্ন ছবি তুলতে তার ভালো লাগে। আমি রানার থেকে ফোন কেড়ে নিলে ও আমার হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। আমি ভয়ে চিৎকার শুরু করে দিয়েছিলাম। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন।’
ওই সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী লক্ষ্মীকান্ত অধিকারী বলেন, ‘সুপার মার্কেট এলাকাতেই ওঁর ঝালমুড়ির দোকান। মার্কেটে দুই মহিলা এসেছিলেন। শুনলাম তাঁদের অশ্লীল ছবি তুলেছে ওই যুবক। ও আগেও মদ্যপ অবস্থায় এই ধরনের কাজ করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। একাধিকবার ওকে সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু ও শুধরোয়নি।’
এ ঘটনা প্রসঙ্গে কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, ‘সিপিএম মহিলাদের অসম্মান করে। এরাই আবার মহিলাদের সম্মানের জন্য রাত জাগে। মানুষ সবটাই জানে। তাই ওরা শূন্য।’
সিপিএম-এর হুগলি জেলা কমিটির সদস্য অর্ণব দাস অবশ্য বলেন, ‘রানা ইন্দ্রর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই, কোনওদিন ছিলও না। ওঁর বাবা আমাদের দলের বর্ষীয়ান নেতা। তবে রানা কোনওদিন দল করেনি। কেউ অপরাধ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’