এই সময়, বর্ধমান, কাটোয়া ও আউশগ্রাম: দক্ষিণ দিনাজপুরের ইসলামপুরে পুলিশের উপর বিচারাধীন বন্দির গুলি চালানোর ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আগ্নেয়াস্ত্রর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বুধ ও বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের তিন এলাকা থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র সমেত চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে ধৃত রঞ্জন হাজরা ওরফে বাবু পেশায় টোটোচালক। দিনে টোটো চালিয়ে রাতে আগ্নেয়াস্ত্রর কারবার করত সে। অস্ত্র বিক্রির ক্যারিয়ার হিসেবে সেই কাজ বন্ধ থাকলে চুরিও করত।
বড়নীলপুরের নতুনপাড়ার বাসিন্দা রঞ্জন ওরফে বাবুর ব্যাপারে গোপন সূত্রে খবর পান বর্ধমান থানার সাব-ইনস্পেক্টর স্বপন বসু। সেই মতো বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে খোসবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের কাছ থেকে একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, কার্তুজ সমেত আগ্নেয়াস্ত্রটি কাউকে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল রঞ্জন। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও এ দিন আদালতে পেশ করার সময়ে রঞ্জন চিৎকার করে বলে, ‘পুলিশ আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমার কাছে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘অপরাধী কি কোনওদিন বলে যে সে অপরাধ করেছে। কোথা থেকে ওই যুবক আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল তার খোঁজ করছে পুলিশ।’
এ দিকে, সূত্র মারফত খবর পেয়ে বুধবার মাঝরাতে কেতুগ্রামের বন্দর বাস স্ট্যান্ড থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সমেত দু’জনকে গ্রেপ্তার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। ধৃতদের নামে জসিমুদ্দিন শেখ ও রবিউল শেখ। বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে ধৃতদের আদালত পাঁচ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ও দিকে, আউশগ্রামের নওয়াদা রেলসেতু সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে বলে বুধবার মাঝরাতে খবর পায় গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ।
পুলিশ সেখানে হানা দিতেই ওই ব্যক্তি ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া করে বোলপুরের কালিকাপুুরের বাসিন্দা সুপ্রিয় বীরবংশী নামে ওই দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড কার্তুজ সমেত গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি ছিনতাই করার উদ্দেশেই রাস্তায় অপেক্ষা করছিল।