বাঘাযতীনের বহুতল ভাঙার কাজ চলছে। শুক্রবার সকাল থেকে আবার কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার কয়েক জন কর্মী বহুতলটি ভাঙছেন। তবে কাজ বেশি দূর এগোয়নি। এখনও উপরের তলাতেই রয়েছেন কর্মীরা। ভাঙা হচ্ছে জানলা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে অতি ধীর গতিতে কাজ এগোচ্ছে।
মঙ্গলবার রাত থেকেই বহুতলটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। শুক্রবারও সকাল থেকে কাজ করছেন পুরকর্মীরা। চারতলার জানলার বেশ কিছুটা অংশ ভাঙা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে রেলিংও। তবে তার বেশি কাজ এগোয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বহুতল নিয়ে এখনও আতঙ্কে। কেউ কেউ মশকরা করছেন, ‘‘কত মজবুত বাড়ি, যে চার দিনেও ভাঙতে পারছে না!’’ তবে বহুতল ভাঙার ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতিই নিয়েছে পুরসভা। এ ক্ষেত্রে এলাকার বাসিন্দা এবং অন্য বাড়িগুলির নিরাপত্তাই তাদের অগ্রাধিকার।
বহুতলের ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রোমোটার পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালির একটি রিসর্ট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বাঘাযতীনকাণ্ডের দায় চাপিয়েছেন পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের উপর। তিনি বলেছেন, ‘‘বাম আমলের পাপের বোঝা আমাদের বহন করতে হচ্ছে। ওই সময়ে কলোনি এলাকাগুলিতে কোনও বাড়ির প্ল্যানিং থাকত না। অনেক ফাইল তো আমরা খুঁজেও পাইনি। এখন তো সেই বাড়ি থেকে আমরা বাসিন্দাদের উঠিয়ে দিতে পারি না।’’
বাঘাযতীনের বাড়িটিতে তিনতলার অনুমতি থাকলেও বেআইনি ভাবে চারতলা নির্মাণ করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির সঠিক কোনও পরিকল্পনা ছিল না বলেও অভিযোগ ওঠে। ফিরহাদ জানান, তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, ধীরে ধীরে বাড়িটি পুরো ভেঙে ফেলতে হবে। তবে এলাকার সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলেছেন মেয়র।