• 'রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন, নচেৎ...', নার্সদের হুঁশিয়ারি রাজ্যের
    আজ তক | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিনই নার্সিং কর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে সতর্ক করল স্বাস্থ্যভবন। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রোগী এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে  হবে। রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ এলে কড়া পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। নার্সদের সংগঠনের দাবি, এই ধরনের নির্দেশিকার কোনও প্রয়োজন নেই। 

    স্বাস্থ্যভবন নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্যতম শক্তিশালী স্তম্ভ নার্স। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে বিভিন্ন ধাপে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গলের নামে শপথ নিয়ে নার্স হতে হয়। তাঁদের চারটি বিষয় সব সময় মনে রাখা উচিত। ভাল আচরণ, সহানুভূতিশীল ব্যবহার, ভালো কথাবার্তা এবং রোগীর চিকিৎসায় নিজেকে উৎসর্গ করে শৃঙ্খলা রক্ষা করা। কিন্তু তার ব্যত্য়য় ঘটছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্যভবন। সেই উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রোগীদের সেবার সময় নার্সেরা যথাযথ আচরণ করছেন না। তাঁদের আচরণে সহানুভূতি ধরা পড়ছে না। রোগী বা তাঁর পরিবারের এটা কাঙ্ক্ষিত নয়। 

    নার্স এবং নার্সিং প্রশিক্ষকদের যত্ন নিয়ে রোগীর দেখভাল করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। সেই সঙ্গে বজায় রাখতে হবে গোপনীয়তা। রোগীদের আবেগ মানবিকতার সঙ্গে দেখতে হবে। নার্সিং প্রশাসনকে সজাগ থাকার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। এনিয়ে অভিযোগ পেলে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

    এই নির্দেশিকার সমালোচনা করেছেন নার্সেস ইউনিটির ভাস্বতী মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন রাজ্যে রোগী পরিষেবা পিছিয়ে যাওয়ার নানা কারণ রয়েছে। নার্সেরা সে জন্য দায়ী নন। ব্যবহারের কথা তুলে রোগীদের কাছে নার্সদের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দিলে পরিষেবার উন্নতি হবে না। এটা নির্দেশিকা দিয়ে জানানোর কিছু নেই।

    স্বাস্থ্যভবনে কর্তা ও কর্মীদের ব্যবহার নিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন ভাস্বতী। তাঁর কথায়,'যাঁরা বলছেন ব্যবহার ঠিক করতে, আমরা স্বাস্থ্যভবনে তাঁদের কাছে গেলে কী ব্যবহার পেয়ে ফিরে আসি, সেটা ভিডিও করে রেখে দেখালে লজ্জা হবে'।

    বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর স্যালাইন-কাণ্ডে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসকদের তরফেই গাফিলতি হয়েছিল বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন, দুর্ঘটনার শিকার কাউকে নিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে মৃত বলে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে হবে। অনেক সময় কোমা থেকে ফিরে আসেন বহু মানুষ। সেই সঙ্গে মমতা এও স্পষ্ট করেন, তিনি ডাক্তারি পড়েননি। ফলে প্রশাসনিক দিকটি দেখতে পারেন। কিন্তু চিকিৎসা দিতে হবে চিকিৎসকদেরই।      
  • Link to this news (আজ তক)