'বাকি অপরাধীরা ঘুরছে, ওদের দেখতে পাচ্ছি,' রায়ের আগে 'হতাশ' নির্যাতিতার মা-বাবা
আজ তক | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
৫ মাস পর এল সেই দিন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ খুন মামলায় শনিবারই রায়দান করতে পারে শিয়ালদা কোর্ট। নিম্ন আদালতের এই রায়দানের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। আরজি কর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত একমাত্র অভিযুক্ত চার্জশিটে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়েরই নাম রয়েছে। কলকাতার এই নৃশংস অপরাধের রায়দানের আগের দিন অর্থাত্ আজ, শুক্রবার তদন্ত নিয়েই ফের প্রশ্ন তুললেন নির্যাতিতা তরুণী ডাক্তারের বাবা। তাঁর মতে, তদন্ত এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। অন্যান্য অপরাধীরা বাইরে ঘুরছে।
বাকি অপরাধীদের কী হবে?
শনিবার দুপুরে আরজি কর মামলার রায় দিতে পারে শিয়ালদা কোর্ট। সঞ্জয় রায়ের কি সর্বোচ্চ অর্থাত্ মৃত্যুদণ্ড সাজা হতে পারে? প্রশ্নের উত্তর মিলবে। সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছে সিবিআই। কিন্তু মেয়ের ধর্ষক, খুনের ঘটনার পিছনে একজন নয়, একাধিক ব্যক্তি রয়েছে বলে দাবি করছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। মৃত তরুণী ডাক্তারের বাবার কথায়, 'সঞ্জয় দোষী এবং কাল রায় ওর বিরুদ্ধেই যাবে। কিন্তু বাকি অপরাধীদের কী হবে? তারা তো বাইরে ঘুরছে। আমি তাদের ঘুরতে দেখতে পাচ্ছি। আমি ওদের হাসপাতালে ঘুরতে দেখেছি। সুতরাং, তদন্ত এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।' একই বক্তব্য নির্যাতিতার মায়েরও। তিনিও দাবি করছেন, প্রশাসন বাকি অপরাধীদের বাঁচিয়ে দিয়েছে।
'মনে হচ্ছিল মাছের বাজার'
নির্যাতিতার মা বলছেন, 'সব প্রমাণ হয় লোপাট করা হয়েছে, বা মুছে ফেলা হয়েছে। সে দিন রাতে যখন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ঘটনাস্থলে গেলেন, বহু মানুষ ক্রাইম সিনে ছিল। মনে হচ্ছিল মাছের বাজার। যাদের ক্রাইম সিনে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেককে শাস্তি দেওয়া উচিত। আমি এখনও জানি না, আমার মেয়েটাকে ওই ভাবে কেন মারল। আমি মনে করি না, সঞ্জয় একা দোষী। আরও অনেকে রয়েছে জড়িত। যতদিন না তাদের শাস্তি হচ্ছে, বিচার সম্পূর্ণ হবে না। আমাদের এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি।' মেয়ের ছবির সামনে কেঁদে কেঁদেই দিন কাটছে বলে জানালেন মা-বাবা।
একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নামই রেখেছে সিবিআই
এই মামলায় চার্জশিটে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নামই রেখেছে সিবিআই। চার্জশিটের ভিত্তিতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় ১১ নভেম্বর। প্রায় ২ মাস পরে রায় দিতে চলেছে নিম্ন আদালত। এই ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি সিবিআই।