• TMC কাউন্সিলর অনন্যার 'হাতি বাড়ি' অবৈধ? গুরুতর অভিযোগ সজলের
    আজ তক | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের 'জাহাজ বাড়ি' থেকে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মোদাচ্ছের হোসেনের 'লভ হাউস'- কয়েক বছর ধরেই প্রকাশ্যে আসছে তৃণমূল নেতানেত্রীদের পেল্লায় বাড়ির ছবি। এবার বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ার মাঝেই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে সামনে এল 'হাতি বাড়ি'। কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের দাবি, ওই বাড়িটি ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেটি বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার পুরভবনে সজল অভিযোগ করেছেন, ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৯৭ নম্বর সন্তোষপুর অ্যাভিনিউয়ে বিরাট অবৈধ বাড়ি নির্মিত হয়েছে। সেটির মালকিন তৃণমূলের কাউন্সলির অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমিদারি বাড়ির আদলে তৈরি হচ্ছে এটি। যার নিচে রয়েছে একটা বিরাট হাতির মাথা। এলাকায় ওই বাড়িটি 'হাতি বাড়ি' নামে ইতিমধ্যেই পরিচিতি পেয়েছে।

    কেবল অভিযোগেই থেমে থাকেননি, বেশ কিছু নথিও পেয়েছেন সজল ঘোষ। তাঁর কথায়,'মিনু রানি ভাওয়ালের থেকে দোতলা বাড়িটি কিনেছিলেন অনন্যা ও তাঁর পরিবার। তারপর নতুন নির্মাণ করতে শুরু করেন। বেআইনিভাবে পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। বাড়ির পিছনের জমি কিনে সেখানেও অবৈধভাবে আর একটি পাঁচতলা বহুতল বানান। দুটি বাড়িকে যুক্ত করা হয়'।

    কলকাতা পুরসভা কেন ব্যবস্থা নেয়নি?

    সজল বলেন,'ওই বাড়িটি নিয়ে কলকাতা পুরসভায় অভিযোগ জমা পড়েছিল। গত বছরের জুন মাসে বাড়িটির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশও জারি করে  বিল্ডিং বিভাগ। ওই নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি। অনন্যা প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ স্থগিত করেন। দুর্গাপুজোর আগে মেয়র পারিষদদের বৈঠকে ওই বাড়িটিকে বৈধতা দেয় কলকাতা পুরসভা'।

    বাঘাযতীনের হেলে পড়ার বাড়িটি বাম জমানার বলে দায় এড়িয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। সেই সঙ্গে দাবি করেছেন, তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত নন। সেই প্রসঙ্গ তুলে সজল জানান,'বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে কাউন্সিলরদের কোনও যোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র। এক্ষেত্রে কাউন্সিলর নিজেই বেআইনি নির্মাণ তৈরি করছেন। বেআইনি নির্মাণকে বৈধ করে দিয়েছে পুরসভা'।

    সজলের অভিযোগ নিয়ে কলকাতা পুরসভার তরফে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সংবাদ মাধ্যমে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বলেন,'আমি কিছুই জানি না। তাই কিছু বলতে পারব না'। অনন্যাকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
  • Link to this news (আজ তক)