অরূপ বসাক: ডুয়ার্সের চামুর্চিতে বেড়াতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরতে পারল না দুই বন্ধু। বাইকে করে চামুর্চি থেকে বানারহাট ফেরার সময়ে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাথর বোঝাই গাড়ির সঙ্গে তাদের বাইকের সংঘর্ষ হয়। দুই বন্ধুরই মৃত্যু হয়। একজন কিশোর সাহিল ওঁরাও (১৭), অন্যজন তরুণ কৃষ মুন্ডা (১৯)। দুজনেরই বাড়ি নগরকাটা ব্লকের ধরণীপুর চা-বাগানের পাইপলাইনে।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে বানারহাট এলাকার পলাশবাড়ি চা-বাগানে ঘটনাটি ঘটে। রাতে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস আহতদের বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কৃষ মুন্ডাকে মৃত ঘোষণা করেন। দ্বিতীয়জনের আঘাত গুরুতর। চিকিৎসক তাকে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় গুরুতর আহত সাহিল ওঁরাও।
প্রতিবেশী দুই যুবকের মৃত্যুতে ধরণীপুর চা-বাগানে শোকের ছায়া। কৃষের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কৃষ মুন্ডা কেরালায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন, ছ'মাস আগে তিনি একটি বাইক কিনেছিলেন। কৃষ বরাবরই ভ্রমণ পছন্দ করতেন। হাতে বাইকে এসে যাওয়ার পরে সেটা বেড়েছিল। গতকাল তিনি প্রতিবেশী বন্ধুর সঙ্গে বাইকে করে বানারহাটে এসেছিলেন।
হঠাৎ বৃহস্পতির রাতে কৃষের পরিবারের কাছে বানারহাট পুলিসের তরফে ফোন আসে এবং বলা হয়-- কৃষ এবং তাঁর বন্ধু সাহিল একটি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন। তাঁদের দ্রুত বানারহাট থানায় ডাকা হয়। ঘটনার পর কৃষ ও সাহিল দুজনের বাড়িতেই শোকের ছায়া।