বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: হরিণের সিং ও বনরুই বা পেঙ্গলিনের আঁশ সহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল রেঞ্জের বনদপ্তরের আধিকারিকেরা। শুক্রবার আসানসোল আদালতে দুজনকেই পেশ করা হয়। ধৃত ব্যক্তির নাম গণেশ প্রসাদ ও সুকুমার বাউড়ি। তারা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। বনদপ্তরের আসানসোল রেঞ্জ অফিসার তমালিকা চন্দ জানান, আসানসোলের কুলটি থানার অন্তর্গত চলবলপুর এলাকার এক ম্যারেজ হলে রুম ভাড়া নিয়ে ছিল অভিযুক্তরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনদপ্তরের আধিকারিকেরা ওই ম্যারেজ হলে হানা দিলে সেখান থেকে হরিণের শিংগুলি ও পেঙ্গলিনের আঁশ উদ্ধার করে। ১১ টি সম্বর হরিনের সিং ও ৭ টি পেঙ্গলিনের আঁশ উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক ওজন প্রায় তিন কেজির মতো। এই সমস্ত প্রানীদের মেরে তার অঙ্গ প্রতঙ্গ বিক্রি করে এরা। যা বাজারে খুবই দুর্মূল্য।
সাধারণত কয়লা অঞ্চলে কয়লা মাফিয়া, বালি মাফিয়া ও জমি মাফিয়ার পর এবার সাধারণত পশু ও পাখির স্বীকার করে বিক্রি করার ব্যবসা শুরু হয়েছে কয়লাঞ্চলে। অন্তরাজ্য গ্যাং চলছে আসানসোল থেকে। আগেও বহুবার এই ধরনের দুর্মূল্য জিনিস উদ্ধার করেছে বনদপ্তর। বনদপ্তর সূত্রে খবর পশুপাখির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বহু মূল্যবান। কয়লার থেকে তার মূল্য অনেকটাই বেশি রয়েছে। এবং খুব তাড়াতাড়ি তাদের জামিনও নাকি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
এর আগে আসানসোলে গো সাপের যৌনাঙ্গ উদ্ধার করেছিল বনদপ্তর এর কর্মীরা। আসানসোল বাস স্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার হয়েছিল বহু মূল্যবান যৌনাঙ্গ। তার আগে আসানসোলের কুমারপুর মোর থেকে পেঙ্গলিনের আঁশ উদ্ধার হয়েছিল। তারও আগে কুলটি থানার সাঁকতরিয়া থেকে উদ্ধার হয়েছিল সাপের বিষ, যা বহু মুল্যবান। তারও কিছু আগে আসানসোলের রানিগঞ্জ এ এক জ্যোতিষীর বাড়ি থেকে গো সাপের যৌনাঙ্গ উদ্ধার হয়েছিল। এছাড়া সাপের বিষ, শজারুর কাঁটা, মুল্যবান নিষিদ্ধ টিয়া পাখি উদ্ধার হয়েছিল। কাঠ পাচার বা মুল্যবান প্রাচীন গাছ কাটা তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে বলা যেতেই পারে বন পশু পাখি বা গাছ দস্যুদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে কয়লাঞ্চলে।