• বড়সড় পাচারের ছক বানচাল, কুলটিতে উদ্ধার হরিণের ১১টি সিং ও প্যাঙ্গোলিনের আঁশ
    প্রতিদিন | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আসানসোলের কুলটি এলাকায় একটি ম্যারেজ হলে উঠেছিলেন দুই ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছু সরঞ্জাম ছিল। পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর যেতেই অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার হল হরিণের সিং ও প্যাঙ্গোলিনের আঁশ।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দুই ব্যক্তির নাম গণেশ প্রসাদ ও সুকুমার বাউরি। তাঁরা দুজনেই প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তাঁরা ওই এলাকায় এসে উঠেছিলেন। পুলিশ ঘরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে। উদ্ধার হয় ওই মূল্যবান সামগ্রী। বনদপ্তরকেও খবর দেওয়া হয়। বনদপ্তর ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্বর প্রজাতির হরিণের ১১টি সিং ও প্যাঙ্গোলিনের সাতটি আঁশ উদ্ধার হয়েছে। হরিণের সিং দিয়ে চিনা ওষুধ তৈরি হয়। এছাড়াও এক্সক্লিউসিভ অটোমোবাইল পার্টসও তৈরি হয়।

    শিয়া ও আফ্রিকায় শক্ত আঁশযুক্ত এই স্তন্যপায়ী প্রাণী প্যাঙ্গোলিন পাওয়া যায়। এই প্রাণীর গায়ের আঁশেরও ব্যাপক চাহিদা আছে। প্যাঙ্গোলিনের আঁশ দিয়ে তৈরি হয় দামী প্রসাধন। নেপাল, পাকিস্তান-সহ বেশ কিছু দেশে ওষুধের উদ্দেশ্যে প্যাঙ্গোলিনের শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করা হয়। ভারত ও নেপালের কিছু অংশে, বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন, প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পরলে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা যায়। তাই চোরাবাজারে এই বন্যজীবের আঁশ ও শরীরের অন্যান্য অংশ বেশি দামে বিক্রি হয়।

    ধৃতরা কোথা থেকে এগুলি পেয়েছিলেন? কোথায়, কার কাছে পাচারের জন্য এই সিং ও আঁশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি চক্র কাজ করছে। তারও খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার তাঁদের দুজনকে আদালতে তোলা হয়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)