বাবুল হক, মালদহ: কয়েকদিনের ব্যবধানে মালদহে দুই তৃণমূল নেতা খুনে উত্তাল বাংলা। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে মালদহে গেলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। কথা বললেন মৃত দুলাল সরকারের স্ত্রীর সঙ্গে। জানালেন, পুলিশের সুপারে নেতৃত্ব সুষ্ঠুভাবে তদন্ত চলছে।
দুলাল সরকার, হাসা শেখকে খুন ও বকুল শেখকে খুনের চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে মালদহে। দুলাল খুনে গ্রেপ্তার হয়েছেন দলেরই এক নেতা। হাসা শেখকে খুন ও বকুল শেখকে খুনের চেষ্টার ঘটনাতেও উঠে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদন্দ্বের তত্ত্ব। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে মালদহে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। কথা বলেন পুলিশ সুপার-সহ অন্য়ান্য আধিকারিকদের সঙ্গে। এরপরই তলব করা হয় দুলালের স্ত্রীকে। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন রাজীব কুমার। ভালোভাবে তদন্ত চলছে বলে দাবি করেন তিনি। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ডিজি। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ভালোভাবে তদন্ত হচ্ছে বলেই জানান।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার তাঁর নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন। পাইপ লাইন মোড়ে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে করে আসা চার দুষ্কৃতী কাউন্সিলরকে ধাওয়া করে। গাড়ি থেকে নেমেই কাউন্সিলর দৌড়ে তাঁর কারখানার উলটো দিকে একটি দোকানে দৌড়ে যান। বাঁচার চেষ্টা করেন। দুষ্কৃতীরাও ওই দোকানের ভিতরে ঢুকে যায়। কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় কাউন্সিলরের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ধৃতের সংখ্যা ৭।