• ‘CBI কাজ করেনি’, রায়ের আগের দিনও অসন্তোষ অভয়ার পরিবারে, ‘বিভ্রান্তির শিকার’ বলে পালটা তৃণমূলের
    প্রতিদিন | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় শনিবার রায়দান করবে শিয়ালদহ আদালত। এতদিন পর্যন্ত প্রথমে কলকাতা পুলিশ ও পরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে একা অভিযুক্ত হিসেবে বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়েছে। শনিবার সম্ভবত তাকেই দোষী সাব্যস্ত করতে চলেছে আদালত। ঘোষণা করা হবে সাজাও। অভয়া মামলায় নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন হতে চলেছে এই দিনটি। তবে তার আগেও সিবিআই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ ও সংশয় প্রকাশ করল পরিবার। অভয়ার বাবার দাবি, ”বিচারক যা ভালো বুঝবেন, সেই রায় দেবেন। তবে সিবিআই তদন্ত নিয়ে আমাদের অনেক প্রশ্ন ও খটকা আছে।” তাঁর এই  প্রতিক্রিয়া শুনে তৃণমূলের পালটা বক্তব্য, ওঁরা বিভ্রান্তির শিকার হয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন।

    একমাত্র মেয়েকে এভাবে হারানোর পর সাময়িক দিশেহারা দশা কাটিয়ে পানিহাটির তরুণী চিকিৎসকের পরিবার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে। আদালতে তাঁরা নিজেরাই মামলা করেছেন। প্রথমদিন থেকেই পরিবারের নিশানায় ছিলেন হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ এবং মেডিক্যাল কলেজের আভ্যন্তরীণ প্রশাসনের দিকেও। প্রথমে সিবিআই তদন্তের দাবিতে তাঁরা সরব হলেও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজ দেখে মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি অভয়ার পরিবার। আর রায়ের আগেরদিনও সেই অসন্তোষ জারি রইল তাঁদের মনে।

    শুক্রবারও সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অভয়ার বাবা বলেন, ”সিবিআই তদন্তের বিষয়ে আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। হাই কোর্টে আমরা ৫৪টি প্রশ্ন রেখেছি। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তুলে আমরা প্রশ্নগুলি রেখেছি। হাই কোর্ট সিবিআইকে ভালো মনে করেছিল বলেই তদন্তভার দিয়েছিল। তাই হাই কোর্টই সিবিআইয়ের থেকে এই উত্তরগুলো নেবে।” আর জি কর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় চেস্ট মেডিসিনের দিকে অভিযোগ তুলেছিলেন অভয়ার মা-বাবা। এদিনও সেই সন্দেহ থেকে সরে আসেননি তাঁরা। সুপ্রিম কোর্ট এনিয়ে যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে, তা প্রত্যাহার করে হাই কোর্টে ফেরত পাঠানোর আবেদন জানিয়েছে পরিবার। তাহলে তাঁরা প্রতি আস্থা

    শনিবার আর জি কর কাণ্ডে রায়ের আগে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”তাঁরা সিবিআই চেয়েছিলেন। তাই আদালত সিবিআই দিয়েছে, সিবিআই-ই তদন্ত করেছে। কলকাতা পুলিশের হাতে তদন্তভার থাকলে এতদিনে সাজা হয়ে যেত। আপনারা যার-তার কথা শুনে বিভ্রান্ত হয়েছেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের উপর অন্তত আস্থা রাখুন।” এদিন ফের বাম-অতিবামদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কুণালের খোঁচা, তারা বলুক, সঞ্জয়ের ফাঁসি চায় নাকি চায় না।
  • Link to this news (প্রতিদিন)