আর কয়েক ঘণ্টা পরে রায় আরজি কর মামলায়, জেলে কীভাবে দিন কাটছে সঞ্জয় রায়ের?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। তারপরই আরজি কর মামলায় রায় শোনাবে শিয়ালদা আদালতে। এই আবহে জেলে কী করছে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়? এই নিয়ে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সঞ্জয় রায়কে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ সেলে রাখা হয়েছে। এদিকে সঞ্জয় রায় নাকি খাওয়া-দাওয়া খুবই কমিয়ে দিয়েছেন। এদিকে ওষুধও নাকি খাচ্ছে না সঞ্জয়। এদিকে ইটিভি ভারতের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেল আধিকারিক জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের সেলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে গুলি করে পালানো সাজ্জাককে বন্দুক দেয় এক বাংলাদেশি, দাবি সরকারি আইনজীবীর
আরজি কর মামলার রায়দান হবে শনিবার। এদিকে সিবিআই ধৃত সঞ্জয়ের 'ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট' বা মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত সঞ্জয়কে ফাঁসি দেয় কি না, সেদিকে নজর সবার। উল্লেখ্য, আরজি কর মামলায় শিয়ালদা আদালতে মোট ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। এর আগে কলকাতা পুলিশের পথে হেঁটেই সিবিআই দাবি করে সঞ্জয় রায়ই এই মামলায় একমাত্র দোষী। এর আগে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয়কে ধরেছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে। তদন্ত করে সিবিআই সঞ্জয় রায়ের নামে চার্জশিট পেশ করে। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলার চার্জ গঠন করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১১ নভেম্বর। এই আবহে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর প্রায় ২ মাস আর সেই নৃশংস ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: মমতার 'দল চালানোর ঘোষণা'র পর বড় মন্তব্য অভিষেকের, বললেন- প্রশাসন মানে...
এর আগে সঞ্জয় দাবি করেছিল, সরকার তাকে ফাঁসাচ্ছে। এমনকী তার আরও অভিযোগ, ডিপার্টমেন্ট তাকে ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেছে। এদিকে সিবিআই চার্জশিটে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ আছে? চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ প্রথম প্রমাণ, যা থেকে জানা গিয়েছে, গত ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় গিয়েছিল সঞ্জয় রায়। সঞ্জয়ের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দ্বিতীয় প্রমাণ। তা নিশ্চিত করেছে যে সেই রাতে সঞ্জয় আরজি করেই ছিল। এদিকে তৃতীয় প্রমাণ হল ডিএনএ। খুন হওয়া চিকিৎসকের দেহে মেলা ডিএনএ-র সঙ্গে মিলে গিয়েছে সঞ্জয়ের ডিএনএ।
চার্জশিটে উল্লেখিত চতুর্থ প্রমাণ হল, সঞ্জয়ের বাজেয়াপ্ত পোশাকে রক্তের দাগ মিলেছে। এদিয়ে পঞ্চম প্রমাণ হল ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ছোট ছোট চুল। সেগুলি সঞ্জয়ের বলে জানিয়েছে সিবিআই। ষষ্ঠ প্রমাণ ব্লুটুথ ইয়ারফোন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়। সেটি সঞ্জয়ের ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল বলে জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে। সঞ্জয়ের শরীরে মেলা ক্ষতচিহ্ন হল সপ্তম প্রমাণ। অভিযুক্তের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে, সেগুলি নির্যাতিতার প্রতিরোধের ফলেই তৈরি হয়েছিল। এছাড়া সিবিআইয়ের তরফ থেকে চার্জশিটে বলা হয়েছিল, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতার অন্তর্বাস পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে তা জোরজবরদস্তি খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল, যার জেরে তা ছিঁড়ে যায়। এদিকে অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষা থেকে এ রকম কোনও প্রমাণ মেলেনি যে, তিনি সঙ্গমে অক্ষম। ঘটনাস্থল থেকে লালারস মিলেছিল, তা ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারেরই।