পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকার জঙ্গলে বাঘের দেখা মিলেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় এক গ্রামবাসী। যেখানে তিনি বাঘের দেখা পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন, সেখানে বাঘের পায়ের টাটকা ছাপও দেখেছেন বনকর্মীরা। সেইমতো বাঘকে ধরতে টোপ দিয়ে খাঁচা পাতার কাজ শুরু হয়েছে। সঙ্গে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে বসানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরাও। যদিও শুক্রবার সন্ধ্যা অবধি বাঘের ছবি ধরা পড়েনি বলেই জানা গিয়েছে।
রাইকার জঙ্গল লাগোয়া যমুনাগোড়ার বাসিন্দা বনসর হেমব্রম। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে তিনি গ্রামের অদূরেই বাঘটি দেখতে পান বলে দাবি। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, বাঘটি আকারে বেশ বড়সড়। পুরুলিয়ার কংসাবতী দক্ষিণের ডিএফও পূরবী মাহাতো 'এই সময় অনলাইন'-কে বলেন, ‘পাগ মার্ক দেখে আমরা অনেকটাই নিশ্চিত যে, একটি বড় পুরুষ বাঘ জঙ্গলে ঢুকেছে। তাকে ধরতে সব রকম চেষ্টাই করা হচ্ছে। প্রশিক্ষিত দলও রয়েছে।’
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার খবর আসে লাগোয়া ভাঁড়াড়ির জঙ্গলে তিনটি গোরুর মৃতদেহ মিলেছে। যদিও বন দপ্তরের আধিকারিকরা একপ্রকার নিশ্চিত, এটা বাঘের কাজ নয়, নেকড়ে জাতীয় অন্য কোনও প্রাণী হামলা করেছে।
কী ভাবে বোঝা যায় পাগমার্ক?
পাগমার্ক হলো বাঘের পায়ের ছাপ
পুরুষ বাঘের পাগমার্ক কিছুটা চৌকো। বাঘিনির পাগমার্ক কিছুটা লম্বা।
পুরুষ বাঘের আঙুলের আকার গোলাটে। বাঘিনির আঙুল লম্বাটে।
পুরুষ বাঘের সামনের পায়ের পিএমএল (পাগমার্ক লেংথ বা দৈর্ঘ্য)-এর থেকে পিএমবি (পাগমার্ক ব্রেডথ বা প্রন্থ) সাধারণত বেশি হয়। বাঘিনির ক্ষেত্রে তা উল্টো।
পিএমএল ও পিএমবির দৈর্ঘ্যের মধ্যে পার্থক্য ১.৫ সেন্টিমিটারের কম হলে সেটি পুরুষ বাঘের পাগমার্ক। ওই পার্থক্য ১.৫ সেন্টিমিটারের বেশি হলে তা বাঘিনির পাগমার্ক।