বয়স ছয়-আট মাস। লম্বায় ফুট তিনেক। চেহারা অনেকটাই রুগ্ন। কুচকুচে কালো রঙের একটি ভালুক শাবককে খাঁচাবন্দি করে পাচার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুই পাচারকারীকে ধরল বন দপ্তর। ধৃতদের নাম বিট্টু মণ্ডল ও মহম্মদ ইরফান। ভালুকটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
উত্তর ২৪ পরগনা ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার অভিজিৎ কর জানান, পাতিপুকুর এলাকা থেকে ভালুক-সহ দু’জনকে আটক করা হয়। চেন্নাই বা অন্য কোনও রাজ্যে ভালুকটিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন দপ্তর হানা দেয় পাতিপুকুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। ভালুকটিকে বিক্রি করার জন্য দর কষাকষি চলছিল। সেখানেই হাতেনাতে ধরা পড়ে দুই পাচারকারী।
বন দপ্তর সূত্রের খবর, ঘোজাডাঙা সীমান্ত হয়ে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ভালুটিককে অন্য রাজ্যে পাচারের ছক কষেছিল অভিযুক্তরা। এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত। ডিএফও জানান, চক্রটি বিভিন্ন পশু-পাখি চোরাপথে নিয়ে এসে পাচার করে। ধৃতদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগ থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
কয়েকমাস আগেই নদিয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়েও বন্যপ্রাণী পাচারের ছক বানচাল করা হয়। বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ৫৬ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা পাচারের আগে একটি আফ্রিকান বন্য বিড়ালকে উদ্ধার করে। যদিও দু’জন পাচারকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।