বাঘাযতীনের বহুতল ভাঙার কাজ চলছে। শুক্রবার ভাঙার কাজের চতুর্থ দিন। তবে পুরো বহুতল ভেঙে ফেলতে সময় লাগবে ১০-১৫ দিন। বাঘাযতীনের বাড়ি ভাঙা নিয়ে জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কেন এই সময় লাগবে, তার কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি। একই সঙ্গে ওই বহুতলের আবাসিকদের পুনর্বাসন নিয়ে কলকাতা পুরসভার কী ভাবনা, তা-ও জানিয়েছেন মেয়র।
বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনি এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে, তার ফলে বহুতলটি এক দিকে হেলে পড়ে। এখনও তা বিপজ্জনক ভাবেই হেলে রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই সেই বহুতল বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার ফিরহাদ বলেন, ‘‘ওই বহুতল ভাঙতে ১০-১৫ দিন সময় লাগবে। কারণ ওই বহুতলের দু’পাশেই বাড়ি আছে, তাই বহুতলটি ভাঙতে সময় লাগছে। যাতে অন্য কোন দুর্ঘটনা ঘটে, সে দিকটা দেখা হচ্ছে।’’
মঙ্গলবার থেকেই বহুতলটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। শুক্রবারও সকাল থেকে কাজ করছেন পুরকর্মীরা। চারতলার জানলার বেশ কিছুটা অংশ ভাঙা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে রেলিংও। তবে তার বেশি কাজ এগোয়নি।
দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ওই হেলে পড়া ফ্ল্যাটের প্রোমোটার। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালির রিসর্ট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্ত প্রোমোটার ‘অন্যায়’ করেছেন বলে দাবি ফিরহাদের। তাঁর কথায়, ‘‘ফ্ল্যাট মালিকদের অজান্তে অন্যায় হয়েছে। প্রোমোটার জেনেশুনে অন্যায় করেছেন। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ হেলে পড়া ফ্ল্যাটটি সরানোর দায়িত্বে যে সংস্থা ছিল, তারাও অন্যায় করেছেন বলে দাবি ফিরহাদের। তাঁর কথায়, ‘‘লিফটিং কোম্পানি সোহেল টেস্ট না করেই কাজ করেছে। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার কে না রেখেই এত বড় কাজ করাটা উচিত হয়নি।’’
ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে শুক্রবার ফিরহাদ বলেন, ‘‘বহুতল হেলে পড়ার কারণ যে সব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখে তাদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য ভাবনাচিন্তা চলছে। গতকাল তাদের পুনর্বাসনের জন্য কথা বলেছি। হতভাগ্য পরিবারগুলিকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেব।’’