মনোজ মণ্ডল: নাবালক ভাইপোকে যৌন হয়রানি! ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয় তুলে ভয় দেখিয়ে বাধ্য করার অভিযোগে তার নিজের কাকিমাকে গ্রেফতার করলো পুলিস। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বাগদা থানা এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ২৮'র দীপিকা বিশ্বাস ওরফে মাম্পি। শুক্রবার বাগদা থানার পুলিস ধৃত মহিলাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠালেন বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সমীর দাস বলেন 'ভাইপোর সঙ্গে কাকিমা যে ধরনের কাজ করেছে সমাজে ভুল বার্তা তৈরি হয়। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল। তখন সাময়িকভাবে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ফের অভিযুক্ত মহিলা ওই নাবালককের সঙ্গে পুনরায় যৌন হেনস্থা করতে থাকে। এর পরে নাবালকের মা বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ছবি এবং মেসেজগুলি পুলিসকে জমা দেয়। পুলিস তাকে গ্রেফতার করে। ওঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই।' বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই নাবালক ভাইপোর সঙ্গে যৌন নির্যাতন চালাত দীপিকা। শুধু তাই নয় সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয় করে রাখতেন তিনি। নাবালক যখন বারবার বাঁধা দেই তখন সে। সেগুলি দেখিয়েই ব্ল্যাকমেল করত দীপিকা। পরিবারের দাবি, কথা বলে ঝামেলা করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তার কিছুদিন পরেই ফের একই জিনিস।
প্রসঙ্গত, একজন নাবালিকাকে ধর্ষণ করানো এবং তাকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করার চেষ্টার জন্য একজন মহিলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘোষণা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১০ জুলাই জয়পুরের গালাতা গেট থানায় একটি নাবালিকাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিস দেড় মাস পরে নাবালিকাটিকে উদ্ধার করে। নির্যাতিতা পুলিসকে জানায় যে, তাঁকে আগ্রায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে কাসোর ছেলে তাঁকে ধর্ষণ করে এবং পতিতাবৃত্তির জন্য জোর করে। এমনকী কাসো এবং তাঁর ছেলে তাঁকে বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল।