• জন্মদিনেই সুবিচার! গুড়াপ ধর্ষণ-খুনে মৃত্যুদণ্ডে খুশি, তবু চোখে জল সন্তানহারা মায়ের
    প্রতিদিন | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: শুক্রবারই ছিল জন্মদিন। এতদিন বাড়িতে এলাহি আয়োজন হত। কেক কাটার রেওয়াজও ছিল। তবে চলতি বছর আর মেয়েই নেই। প্রতিবেশীর যৌন লালসার নৃশংস অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে বছর পাঁচেকের শিশু। ঘটনার ৫৪ দিনের মাথায় দোষীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপরাধীর চরম শাস্তিতে খুশি সন্তানহারা মা। তবে চোখের জল মুছতে মুছতে বারবার মেয়ের জন্মদিনের স্মৃতি যেন কুড়ে খাচ্ছে তাঁকে।

    চোখের জল মুছতে মুছতে নাবালিকার মা বলেন,”আজ আমার মেয়ের জন্মদিন। আর আজকের দিনেই এই রায় যেন মেয়ের আত্মার শান্তির জন্যই এই রায়। প্রথমদিন থেকেই পুলিশ আধিকারিকরা খুবই সাহায্য করেছেন। সকলকে ধন্যবাদ।” নাবালিকার বাবা বলেন, “আজ মেয়ের জন্মদিন আর আজকে এই রায় ঐতিহাসিক। আমি চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন ফাঁসি হয়ে যায়। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ, তারা প্রথম থেকে যে কথা দিয়েছিল আজ সেটাই হয়েছে। এত তাড়াতাড়ি এই রায় হবে ভাবতে পারিনি। খুবই খুশি হয়েছি। আদালতকে ধন্যবাদ। আমি চাই সমাজে যেন এমন ঘটনা না ঘটে। আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছি। আর যেন কেউ কারও মেয়েকে না হারান। মেয়েরা সুরক্ষিত থাকুক। ভালো থাকুক।”

    উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ নভেম্বর, বছর পাঁচেকের শিশুকে ধর্ষণ ও খুন করে প্রতিবেশী। মাত্র ৫৪ দিনের মাথায় মামলার কিনারা করা হয়েছে। প্রথম থেকে এই মামলার নিষ্পত্তি করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল বলেই জানান পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। তিনি বলেন, “শুরু থেকেই এই মামলাটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল। ঘটনার পরদিনই সিট গঠন করা হয়। প্রসিকিউশান খুব ভালোভাবে কাজ করেছে। যার ফলে খুব দ্রুত এই মামলার বিচার সম্ভব হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “শিশুকে আর ফিরিয়ে দিতে পারব না। তবে সঠিক বিচার পরিবারকে মানসিক শান্তি দেবে।” পুলিশের প্রশংসা করেছেন সরকারি আইনজীবী শংকর গঙ্গোপাধ্যায়ও।
  • Link to this news (প্রতিদিন)