• ডিজির জেলা সফরের মাঝেই কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত জাকির গ্রেপ্তার
    প্রতিদিন | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • বাবুল হক, মালদহ: ডিজি রাজীব কুমারের জেলা সফরের মাঝে তৃণমূল কর্মী খুনের তদন্তে একধাপ এগোল জেলা পুলিশ। শুক্রবার কালিয়াচকের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে জাকির শেখকে গ্রেপ্তার করা হল। এর আগে জাকির ঘনিষ্ঠ হামজাকে জালে এনেছিল পুলিশ। তাকে লাগাতার জেরা করে জাকির শেখের সন্ধান মেলে। ঘটনার তিনদিন পর অবশেষে তাকেও গ্রেপ্তার করলেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, কালিয়াচকের তৃণমূল নেতা বকুল শেখকে টার্গেট করে হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী সে-ই। সেদিন বরাতজোরে যদিও বকুল শেখ রক্ষা পান। শুটআউটে খুন হয়ে যান বকুলের সঙ্গী হাসা শেখ।

    মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচকে তৃণমূল নেতা হাসা শেখকে গুলি করে হত্যা ও অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখকে খুনের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, রাজনৈতিক কারণেই শুটআউটের ঘটনা ঘটেছে। তবে পরবর্তী সময় বোঝা যায়, পুরনো শত্রুতা, ভাগ-বাটোয়ারা সংক্রান্ত অশান্তিও রয়েছে এর নেপথ্যে। ওইদিনই আটক করা হয় ১০ জনকে। বুধবার কালিয়াচক কাণ্ডে প্রথম পুলিশের জালে আসে এক অভিযুক্ত। ধৃতের নাম হামজা। তার থেকে জাকির শেখের হদিশ মেলে। জানা যায়, জাকির দিন পনেরো আগে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বও উঠে আসে। যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি জানান, ”জাকির কংগ্রেস, এলাকায় দুষ্কৃতী বলে পরিচিত। ও কেন তৃণমূলের হবে?”

    তবে কালিয়াচকের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখের সঙ্গে জাকিরের শত্রুতা নাকি দীর্ঘদিনের। সেই কারণে জাকিরের দলে যোগদান নিয়ে তাঁর আপত্তি ছিল। তা নিয়েও যথেষ্ট চাপানউতোর ছিল এলাকার রাজনৈতিক মহলে। তার মাঝে হাসা শেখ হত্যায় নাম উঠে আসে জাকিরের। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল সে। ড্রোন উড়িয়ে তার খোঁজ করে পুলিশ। তিনদিন পর শেষমেশ নিজের এলাকা কাশিমনগর থেকে জাকির ধরা পড়ল পুলিশের জালে। তাকে জেরা করে তৃণমূল কর্মী খুনের কিনারা করতে মরিয়া তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)