মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যু, ১২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের
প্রতিদিন | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
অর্ণব আইচ ও সম্যক খান: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা। শুক্রবার গাফিলতিতে অভিযুক্ত ১২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায়।
গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কেশপুরের প্রসূতি মামনি রুইদাস পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। ৯ জানুয়ারি রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে রিপোর্ট তলব করে নবান্ন। ঘটনা খতিয়ে দেখতে ১৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থদপ্তর। পাশাপাশি তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। গতকাল তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাতে স্যালাইনের ‘বিষক্রিয়া’ নয়, ‘হিউম্যান এরর’-এর কথা বলা হয়। জানা যায়, ওইদিন অপারেশন থিয়েটারে কোনও RMO বা কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। অ্যানাস্থেশিয়া থেকে শুরু করে ডেলিভারি – সবই করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর তাতেই বিপত্তি ঘটেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
তারপরই, সাংবাদিক সম্মেলনে মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার-সহ অভিযুক্ত ১২ চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সিআইডি তদন্ত চলবে বলেও জানান তিনি। আজ শুক্রবার ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় অনিচ্ছাকৃত খুন, কাজে গাফিলতি, সরকারি কর্মচারী হয়ে আইন না মেনে কারও ক্ষতি করার মতো একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়া আজ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান সিআইডির তদন্তকারীরা। সেখানে তাঁরা নতুন সুপার ইন্দ্রলীন সেনের সঙ্গে কথা বলেন।
এই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ আজ সাফ বলেন, “সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র ডাক্তারদের কাঁচা হাতে দায়িত্ব দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। তাই এই গাফিলতি তাঁদেরই। হাসপাতালের অন্য ইউনিটেও ওই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। সেখানে তো সমস্যা হয়নি। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে স্যালাইনের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।”