আজকাল ওয়েবডেস্ক: আচমকাই ছুরি দিয়ে আঘাত। গুরুতর জখম অবস্থায় স্বাস্থ্যকর্মীকে ভর্তি করা হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে।
ঠিক কী ঘটেছিল? এক ব্যক্তি আবাসনে ঢুকে আচমকাই গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে মানকর গ্রামীণ হাসপাতালের মহিলা গ্রুপ ডি কর্মী দীপ্তি কোনার চৌধুরিকে। গুরুতর আহত মহিলা কর্মী দীপ্তিকোনার চৌধুরিকে হাসপাতালের কর্মীরা উদ্ধার করে প্রথমে মানকর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আচমকা এই ঘটনায় হাসপাতালজুড়ে আতঙ্কিত হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা। হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন জখম কর্মীর পরিবার পরিজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার পুলিশ। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জখম স্বাস্থ্যকর্মী দীপ্তিকোনার চৌধুরীর স্বামী উত্তম চৌধুরী জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে দুই দুষ্কৃতী হাসপাতালের পিছনের দিকে আবাসনের দোতলার কোয়াটারে ঢোকে। গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, চুরি করার উদ্দেশ্যই দুষ্কৃতীরা আবাসনে ঢোকে। কিন্তু স্ত্রী তাঁদের বাধা দেওয়ায় হামলা চালায় তাঁরা।
হাসপাতালের ভিতরে যে সমস্ত কোয়ার্টার রয়েছে তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ বলে জানান উত্তম বাবু। বাধ্য হয়ে তিনি আবাসন থেকে বেশ খানিকটা দূরে নিজের বাড়ি তৈরি করছেন। দুপুরে তিনি সেখানে বাড়ি তৈরির কাজকর্ম দেখতে যান। তখন তাঁর স্ত্রী আবাসনে একাই ছিল। ওই সুযোগে দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটায়।