উদ্ধার হলো পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলমের মৃতদেহ। গোয়ালপোখরের সাহাপুর এলাকা থেকে তার দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় লোধন গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, সাজ্জাকের শরীরে ৩টি গুলির চিহ্ন মিলেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা।
গত বুধবার ইসলামপুর মহকুমা আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে খুনের মামলায় অভিযুক্ত সাজ্জাক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। প্রস্রাব করার নাম করে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে সে গুলি চালায়। গুলিতে জখম হন রায়গঞ্জ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর নীলকান্ত সরকার ও কনস্টেবল দেবেন বৈশ্য।
বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক পিস্তল কোথা থেকে পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আহত দুই পুলিশকর্মীকে দেখতে মাটিগাড়া হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। সেখানে তিনি বলেছিলেন, পুলিশের উপর কোনও ‘ক্রিমিনাল’ গুলি চালালে, চার গুণ গুলি চলবে। হামলা হলে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করা হবে বলেও জানান রাজীব কুমার। পুলিশ সাজ্জাক আলমকে ধরার জন্য ২ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছিল।
সাজ্জাককে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল সে। সেই সময়েই পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তবে সাজ্জাকের মৃত্যু এনকাউন্টারে হয়েছে কি না, তা এখনও জানায়নি পুলিশ।
পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালেও নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো যাননি। শনিবার সাজ্জাককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।