কাটোয়ায় মুড়ি-পাঁপড়ভাজা খেতে খেতে রাত জেগে যাত্রা দেখলেন মন্ত্রী স্বপন
বর্তমান | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: মাঝরাতে মুড়ি-পাঁপড়ভাজা খেতে খেতে যাত্রা দেখলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ঘটনাস্থল কাটোয়ার সুড্ডো গ্রাম। যাত্রা শেষে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে আলুপোস্ত ও মাছের টক দিয়ে ভাত খেয়ে গ্রাম ছাড়লেন৷ স্বপনবাবুকে সকলেই যাত্রাপাগল বলে চেনেন। সাজঘরে গিয়ে যাত্রা শিল্পীদের নানা পরামর্শ দিতে দেখা যায় মন্ত্রীকে৷ এদিনও কখনও শব্দের পরিমাপ কতটা হবে, কখনও অভিনয় নিয়ে পরামর্শ দিতে দেখা যায় স্বপনবাবুকে।
কাটোয়া-১ ব্লকের সুড্ডো গ্রামে কমলেকামিনী পুজো উপলক্ষ্যে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কলকাতার চিৎপুর থেকে নামী শিল্পীরা গ্রামে এসেছিলেন যাত্রা করতে৷ মন্ত্রী সেখানেই গ্রামের মানুষের মাঝে বসে সারারাত ধরে যাত্রা শোনেন৷ গ্রামের বাসিন্দাদেরও যাত্রা শুনতে আহ্বান জানান৷ স্বপন দেবনাথ বলেন, রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন যাত্রাপালায় লোকশিক্ষে হয়৷ একটা সময় যাত্রাশিল্পে ভাটা পড়েছিল ঠিকই। কিন্তু নতুন প্রজন্ম আবার একে পেশা হিসাবে বেছে নিচ্ছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাত্রাশিল্পকে বাঁচাতে বহু কাজ করেছেন৷ কলকাতায় যাত্রা অ্যাকাডেমি গড়েছেন৷ সেখানে শিল্পীরা প্রশিক্ষণ পেয়ে পেশা হিসাবে যাত্রাকে বেছে নিচ্ছেন৷ সেই আয়ে অনেকের সংসার চলছে৷ আমি নিজেও যাত্রা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত৷ অভিনয় করি এখনও৷ আর সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য কিছু নেই৷ তাই ওদের সঙ্গে বসে যাত্রা দেখায় আলাদা আনন্দ রয়েছে৷ তাতে তাঁদের নানা সমস্যার কথাও জানা যায়।
এদিন প্রবীণ যাত্রাশিল্পী রুমা দাশগুপ্ত বলেন, যাত্রার প্রতি নতুন করে সবাই আকৃষ্ট হচ্ছেন৷ একটা সময় আমরাও চিন্তায় ছিলাম৷ কিন্তু এখন রাতের পর রাত রাজ্যজুড়ে আমরা যাত্রা করছি। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে মানুষ যাত্রাকে কতটা ভালোবাসেন। সুড্ডো গ্রামে যাত্রার শুনতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি যাত্রা শুনতেই এসেছিলাম। শিল্পীদের সবসময় আমি উৎসাহিত করি। তাই গ্রামের বধূদের হেঁশেলে ঢুকে যাত্রা শোনার জন্য আবেদন জানিয়েছি।-নিজস্ব চিত্র