রঘুনাথপুর থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে দোকানে চুরি, বিক্ষোভ অবরোধ
বর্তমান | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: রঘুনাথপুর থানা থেকে দূরত্ব মাত্র ১০০ মিটার। তারপরেও মুদির দোকানে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। চার মাসের ব্যবধানে ছাদের অ্যাসবেসটস ভেঙে দু’বার চুরির ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরপর চুরির ঘটনায় রঘুনাথপুর শহরের ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার শহরের ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদে নামেন। রঘুনাথপুর-চেলিয়ামা রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। তার জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীবাহী বাস সহ পণ্যবাহী গাড়ি আটকে পড়ে। অফিস টাইমে অবরোধ হওয়ায় অনেকে সমস্যায় পড়েন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিস বাহিনী আসে। অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিস আধিকারিকরা দফায় দফায় আলোচনা করেন। পুলিসের তরফে সাতদিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর শহরের থানা থেকে কিছুটা দূরেই চেলিয়ামা রোডের ধারে কয়েকটি দোকান রয়েছে। সেখানে একটি বড় মুদির দোকানে পরপর দু’বার চুরির ঘটনা ঘটল। অভিযোগ, দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন ওই দোকানের ছাদের অ্যাসবেসটস ভেঙে দুষ্কৃতীরা নগদ টাকা সহ প্রায় ৭০ হাজার টাকা সামগ্রী চুরি করে নিয়ে পালিয়েছিল। সেই সময় দোকানের মালিক বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফের বৃহস্পতিবার রাতে একই কায়দায় দুষ্কৃতীরা ওই দোকানের ছাদের অ্যাসবেসটস ভেঙে প্রায় ৮০ হাজার টাকার সামগ্রী চুরি করেছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার দোকান খোলার পর বিষয়টি মালিকের নজরে আসে। পরপর চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিস কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তাই পুলিস প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে ব্যবসায়ীরা অবরোধে শামিল হন।
চুরি যাওয়া দোকানের মালিক গয়াসুর কর্মকার। তাঁর ছেলে সরোজ কর্মকার বলেন, দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন দোকানে চুরি হয়েছিল। এদিনও সকালে দোকান খুলে দেখি আগের মতো অ্যাসবেসটস ভেঙে দুষ্কৃতীরা প্রায় ৮০ হাজার টাকার সামগ্রী চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে। পরপর দোকানে চুরির ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।
রঘুনাথপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার দেবযানী পরামানিক বলেন, কয়েকদিন আগে রঘুনাথপুর-১ নম্বর ব্লক চত্বরে থাকা ডাক ঘরে তালা ভেঙে চুরির চেষ্টা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ওয়ার্ডের কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক দোকানে চুরি হচ্ছে। অথচ পুলিসের কোনও হেলদোল নেই। জেলার পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।